চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাহুলের পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার খবর নাকচ করলো কংগ্রেস

কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপিতর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে ইস্তফা পত্র জমা দেয়ার খবর প্রকাশের ঘন্টা খানেক পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে রাহুল গান্ধী আদৌ পদত্যাগ পত্র জমা দেননি!

রাহুলের পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার সংবাদ যখন দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম গুলোতে তোলপাড় সৃষ্টি করছিলো তখন দলের পক্ষে গণমাধ্যমে কথা বলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ।  তিনি রাহুলের পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার খবর নকচ করে দিয়ে পাল্টা বলেন: রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করেননি।

তবে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকের শুরুতে রাহুল সকলের সামনে পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান রণদীপ। তবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তা সরাসরি নাকচ করে দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।

এর আগে,‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ প্রচারের মাধ্যমে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের মিশনে নামে কংগ্রেস। সভাপতি রাহুল গান্ধীর এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। কংগ্রেসের ঘাঁটি আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছে নিজেও পরাজিত হন। দল এবং দলের বাইরে প্রশ্নের মুখে তার নেতৃত্ব।

‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ এ স্লোগান নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এ স্লোগানের জেরেই সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইতে হয়েছে কংগ্রেস সভাপতিকে। আবার রাহুলের এই স্লোগানকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে টুইটারে চৌকিদার অভিযান শুরু করেছিলেন মোদি। উনিশের রায়ে রাহুলের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মুখ থুবড়ে পড়েছে।

রাহুলের এই স্লোগানের জেরেই এবার ভোটের লড়াইয়ে হেরেছে হেরেছে কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছেন কংগ্রেসেরই কয়েকজন শীর্ষ নেতা। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান মানুষ ভালো ভাবে নেননি, যার ফলে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

৬ সপ্তাহব্যাপী ম্যারাথন নির্বাচন শেষে বৃহস্পতিবারের ভোটগণনায় আগের বুথফেরত জরিপের অনুমানকে সত্য প্রমাণিত করে জিতে যায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। নির্বাচন হওয়া ৫৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫১টি আসন পেয়েছে এই জোট, যারা মধ্যে একা বিজেপিই পেয়েছে ৩০২টি আসন।

অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের ইউপিএ পেয়েছে মাত্র ৯২টি আসন। এর মধ্যে দল হিসেবে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৫৪টি।

নিরঙ্কুশ জয়ের পর আজ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন এনডিএ জোটের নির্বাচিত এমপিরাও। বৈঠকে নেতা নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের অনুমতি চাইবেন নরেন্দ্র মোদি। ধারণা করা হচ্ছে ৩০ মে নতুন সরকার শপথ নেবে।

এবারের মন্ত্রিসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র যোগদানের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দলটিতে নতুন প্রশ্ন কার হাতে যাচ্ছে বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।