শপথ নেওয়ার পরের দিনই ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘মে ডিক্রি’তে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার ক্রেমলিনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি পরবর্তী ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের শপথ নেন।
পুতিন দ্বিতীয় ছয় বছর মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই ডিক্রিতে সই করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর পুতিন ২০১২ সালের ৭ মে’র একাদশ ডিক্রির ঐতিহ্য অব্যাহত রাখতেই তিনি এতে সই করেন।
ডিক্রিতে আসন্ন বছরগুলোতে দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান কাজগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
রাশিয়ার জাতীয় লক্ষ্য ও উন্নয়ন কৌশল বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের এ ডিক্রিতে বলা হয়, মস্কো ২০২৪ সাল নাগাদ বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের গ্রুপে যোগ দেবে। এতে রাশিয়ার উন্নয়নে বিভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর এসব লক্ষ্য রুশ সরকার ২০২৪ সাল নাগাদ অর্জন করবে।
আরও কিছু কৌশলের মধ্যে রয়েছে, ‘ম্যাক্রো-ইকোনমিক’ স্থিতিশীলতা বজায় রেখে রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব পর্যায়ের ওপরে নিয়ে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি কোনোভাবেই ৪ শতাংশের বেশি হতে না দেয়া।
পুতিন জানিয়েছেন, মে ডিক্রিতে রুশ সরকারের ১২ জাতীয় প্রকল্প প্রণয়ন, উন্নয়ন ও সংশোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে আছে জনমিতি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং রপ্তানি সহায়তা।
২০১৭’র তুলনায় ২০২৪ সালে রাশিয়ার মোট জিডিপি’তে ডিজিটাল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে খরচের ভাগ যেন পরিমাণে ৩ গুণ হয়, সরকার তা নিশ্চিত করবে বলে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এজন্য ডিজিটাল অর্থনীতির পেছনে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ডিক্রি অনুসারে, ২০২৪ সালের মধ্যে জনপ্রশাসন ও জনকল্যাণ খাতে উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।