ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন কঠোর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে আলোচনা করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বৃহস্পতিবারই এ আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ কর্মকর্তারা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। ইইউ এজন্য তাকেই দায়ী করবে।
ইউরোপীয় নেতাদের কাছে ‘ব্যাপক এবং সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ’ এর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বহস্পতিবারেই পাঠানো হবে বলেও জানান ভন ডার লিন।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
জরুরি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তি এবং মার্কেটে রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করতে তাদের অর্থনীতির কৌশলগত খাতকে নিশানা করব। আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির ভিত এবং আধুনিকায়নের সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেব।
এছাড়াও “আমরা ইইউ দেশগুলোতে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করাসহ ইউরোপীয় অর্থবাজারেও রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করব।”
ইইউ এরই মধ্যে বুধবার রাশিয়ার ওপর প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আওতায় ইইউ রাশিয়ার রাজনীতিবিদদের কালো তালিকাভুক্ত করেছে এবং রাশিয়ার স্বীকৃতি পাওয়া পূর্ব ইউক্রেনের দুই বিচ্ছন্নতাবাদী অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য কমিয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলের উত্তরে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সরকারি সেনাদের অবস্থানে গ্র্যাড ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষী সংস্থার বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
এছাড়া ওডেসা অঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলায় ১৮ জন নিহতের কথা জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে ওডেসা আঞ্চলিক প্রশাসন জানায়, ১৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এই মুহূর্তে আমরা ধ্বংস্তূপে অনুসন্ধান করছি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া খবরগুলোর মধ্যে এটিই দিনের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এর আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, তাদের পাওয়া তথ্য অনুসারে রুশ হামলায় দেশজুড়ে নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশ জনের মতো। নিহতদের মধ্যে ১০ জন বেসামরিক রয়েছেন।