শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিষয়ে রায় ঘোষণা শুরু করেছেন আদালত।
নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ৮৪ পৃষ্ঠার এই রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অপর আসামীরা উপস্থিত আছেন।
এদিকে এই রায়কে কেন্দ্র করে শ্রম আদালত ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। যেখানে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলায় দুইটি ধারায় শাস্তির আবেদন জানায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। যেখানে একটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় কেবলমাত্র ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।