রাজধানীর রামপুরায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ খাল দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর পরিবার। খাল ভরাট হওয়ায় নিচু এলাকায় যেসব বসতবাড়ি রয়েছে সামান্য বৃষ্টি হলেই সেগুলোতে হাঁটুপানি উঠে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী।
খাল-বিলের বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও এক সময় অনেক খাল ছিল। সে সব খালের অনেকগুলোই অবৈধভাবে ভরাট করে এমনকি বসতবাড়িও তৈরি করা হয়েছে।
রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার উলনে নব্বইয়ের দশকে ছিল এক কিলোমিটার দীর্ঘ খাল। আশপাশের এলাকার পানি যেত ওই খাল দিয়ে। স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর পরিবার সরকারি ওই খাল দখল করে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের একজন মিজানুর রহমান শিকদার অভিযোগ করে বলেন, দখল করতে করতে পুরো খাল দখল হয়ে করে নিয়েছে।
মসজিদ তৈরির নামেও খাল দখল হয়েছে। আর আশপাশের নিচু এলাকার মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
অবৈধভাবে খাল দখলের প্রতিবাদ করায় রোশানলে পড়েছে উলনের এই শিকদার পরিবার।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ নানা জায়গায় অভিযোগ করেও খাল দখল ঠেকানো যায়নি।
নাদিয়া শিকদার বলেন, আমি সব ধরনের চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়েছে কারণ স্থানীয়দের সমর্থন আমি পাইনি।
পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাদিয়া বলেন, আমি পুলিশের কাছে গিয়েছি। আমি পুলিশের প্রোটেকশনে ছিলাম ছয় মাস। কারণ প্রতিবাদ করায় তারা আমার বাসায় হামলা চালিয়েছিলো।
এ বাড়ি থেকে ওয়াসার যে লাইন দিয়ে পানি বাইরে যেত সে লাইনও আটকে দেয়া হয়েছে। মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, এটার মধ্যে পানি যে যায়, ড্রেনেজ ওয়াটার যাওয়ার জন্য যেই ড্রেনেজ সিস্টেম আছে, সেটা ওয়াসা বা ডিসিসি যারই হোক এটাকে ব্লক করে দিয়েছে ওরা।
ক্ষতিগ্রস্থদের একজন মমতাজ বেগম বলেন, এখন কি ওদের সাথে আমরা লড়াই করবো নাকি? কিছু হলেই তো ওরা হাজার হাজার লোক নিয়ে আসে। এসে আমাদের বাড়িতে অত্যাচার করে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মাতব্বর পরিবার। সিরাজুল ইসলাম মাতব্বর বলেন, খাল নাই। খাল আসবে কোনখান থেকে, পৈত্রিক জমি। একজনের জায়গা থেকে আরেকজনের বাড়িতে পানি যাইতে দিবো নাকি?
খাল দখলমুক্ত করে এলাকার পানি চলাচল ঠিক রাখতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।