রানা প্লাজার আতঙ্ক এখনও ভুলতে পারেননি আহতরা। সেই আতঙ্ক আর আঘাত তাদের মানসিক সমস্যা তৈরি করছে। তাদের বেশিরভাগই এখন কর্মহীন।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার টেগুরিয়া গ্রামের বুলবুলি আক্তার চাকুরী করতেন রানা প্লাজার ৪র্থ তলায়। একই জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রশিদপাড়া গ্রামের অতিজান বেগম ৭ম তলায় চাকুরী করতেন। রানা প্লাজা ধসের ধটনায় দু’জনই আঘাত পেয়েছিলেন মাথা-হাত-পা এবং মেরুদণ্ডে। দু’ জনের কেউই এখন আর কাজ করতে পারেন না। থাকেন গ্রামের বাড়িতেই।
রানা প্লাজার ঘটনায় আহত বুলবুলি আক্তার বলেন, ঠিক মতো কাজ করতে পারি না ব্যাথা করে। যে কোনো শব্দ পেলে মনে হয় মাথার উপরে সব কিছু ভেঙ্গে পড়তেছে।
রানা প্লাজার ঘটনায় আহতের আরেকজন অতিজান বেগম বলেন, যে কোনো শব্দ পেলে ভয় পাই, কেউ জোরে কথা বললে ভয় পাই আবার কোন কিছু ভেঙ্গে পড়লে ভয় পাই। তখন মনে হয় ঐ দৃশ্যটা আবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার হরহলিয়া গ্রামের কমলা বানু, পাঁচবিবির দুখুমিয়া এবং বায়েজিদ: রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় আহত এই মানুষগুলোর মানসিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। সঙ্গে আরো অনেক সমস্যা।
রানা প্লাজার ঘটনায় আহত কমলা বানু বলেন, আমার স্বামীর নামে বিকাশে টাকা এসেছিলো সেই টাকা আমি পাই নাই।
রানা প্লাজার ঘটনায় আরেক আহত দুখুমিয়া বলেন, মনের দুঃখটা কাউকে দেখাতে পারবো না যে ঐ জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে গেছে।
আহত প্রত্যেকেই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তবে তাদের চাওয়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ যাদের অবহেলায় রানা প্লাজার ধস তাদের প্রত্যেকের যেনো কঠোর সাজা হয়। সেই সঙ্গে এমন ঘটনাও যেনো আর না ঘটে।