৩৫৮ রানের লক্ষ্য ধাওয়া করে প্রায় শেষ পর্যন্তই ম্যাচে ছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। পরে ৩৩৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। দুদলের মিলিত প্রায় সাতশ রানের বন্যার ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। আফিফ হোসেনের দলকে ২৩ রানে হারায় নাঈম ইসলামের দল।
দুই ম্যাচের দুটিতে জিতে রূপগঞ্জের পয়েন্ট ৪। সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আবাহনী। আর দুই ম্যাচের দুটিতেই হারল শাইনপুকুর।
রূপগঞ্জের দুই সেঞ্চুরি জবাবে প্রায় দুই সেঞ্চুরির কাছে গিয়েছিল শাইনপুকুরও। তবে সাব্বির হোসেন সেঞ্চুরি পেলেও ৮৩ রানে থামতে হয় তৌহিদ হৃদয়কে। শেষদিকে সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩৪ ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা রান না পাওয়ায় রূপগঞ্জের বিপক্ষে রূপকথা লেখা হয়নি শাইনপুকুরের।
বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে যেয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে শাইনপুকুর। ওপেনিং জুটিতে ১০৪ রান তোলার পর আউট হন ভারতীয় ব্যাটসম্যান উপেন্দ্র কুল। করে যান ২৯ রান। আফিফ হোসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু ১৫ রান করেই ফিরতে হয় অধিনায়ক আফিফকে।
৮৭ বলে আট চার ও তিন ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করার পর আউট হয়ে যান সাব্বির। তারপরও দলকে লক্ষ্যে রাখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু ৮১ বলে ৮৩ রান করে তিনি ফিরতেই ম্যাচ হেলে যায় রূপগঞ্জের দিকে।
শেষদিকে সোহরাওয়ার্দী শুভ ২৯, দেলোয়ার হোসেন ও সুজন হাওলাদারের ছোট ছোট ইনিংসে ভালো এগোচ্ছিল শাইনপুকুর। শেষ পাঁচ ওভারে তাদের দরকার ছিল ৫৭ রান। কিন্তু রূপগঞ্জের বোলারদের সামনে শেষঅবধি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেনি, সংগ্রহ জমাতে পরে ৩৩৪ রানের। ম্যাচ হারতে হয় ২৩ রানে।
রূপগঞ্জের হয়ে নাবিল সামাদ তিনটি ও আসিফ হোসেন দুটি করে উইকেট নেন।
আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে মোহাম্মদ নাঈম ও আজমীর আহমেদ যোগ করেন ১৩২ রান। উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে আজমীর ৪৮ রানে সাজঘরে ফিরলেও নাঈম ছোটেন তিন অঙ্কের দিকে।
তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নাঈম ইসলামের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তরুণ নাঈম গড়েন আরেকটি বড় জুটি। পরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুজনই। তাতে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান তোলে গত আসরের রানার্সআপ রূপগঞ্জ।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথস সেঞ্চুরি পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম করেন ১২২ রান। এ বাঁহাতির ১০৮ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।
১০৮ রান করে নাঈম ইসলাম আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নবম সেঞ্চুরি পাওয়া এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেন ৯৮ বল। ১১টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।