বয়সের ধুঁয়ো তুলে জাতীয় দলে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাকের বোলিংয়ে অবশ্য বয়সের ছাপ পড়েনি, ঘূর্ণিতে ধারও কমেনি এতটুকু। ৩৫ ছুঁই ছুঁই এ বাঁহাতি স্পিনার অভিজ্ঞতার মন্ত্রে রোববারও তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। শেখ জামালের এই বোলারের তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ারে আসা দলটিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে রাজ্জাকের দল।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম রাউন্ডের এই সাফল্যে ৫ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সেরা ছয়ে অবস্থান করছে শেখ জামাল। আর ৫ ম্যাচে রাজ্জাকের নামের পাশে উইকেট ১৬টি।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে রাজ্জাকের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা। ৮.৩ ওভারে দুটি মেডেনসহ মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট নেন শেখ জামাল অধিনায়ক। ৪৬.৩ ওভার খেলে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স। সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে জনি তালুকদারের ব্যাটে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ভালই লড়ছিল পারটেক্স। তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ১৪৩ রানে। এরপর রাজ্জাকের ঘূর্ণির সামনে তাসের ঘরের মতো উইকেট পড়তে থাকে। দলটি ৫৮ রান তুলতে হারায় শেষ ৮ উইকেট।
রাজ্জাকের ৫ উইকেটের দিনে ২টি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার তানবীর হায়দার। একটি করে উইকেট গেছে সোহাগ গাজী ও শাহাদাত হোসেন রাজিবের দখলে।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। জয়ের ভিত সহজ করে দেন ওপেনার মাহবুবুল করিম। মাত্র ২৭ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
তানবীর হায়দার ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন। জয়ে ভূমিকা রাখে সোহাগ গাজীর ৩১ ও ইলিয়াস সানির ২৩ রানের কার্যকরি ইনিংস দুটিও।