‘আগামী প্রজন্ম যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সঠিক তথ্য সম্বলিত ইতিহাস আমাদেরই লিখতে হবে।’- বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শেখ হাসিনা সরকার’ বইটির মোড়ক উম্মোচন করে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বইটির লেখক কবি, সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাজু আলীম। তার লেখা নতুন বইটির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, বহুমাত্রিক শেখ হাসিনাকে কেবল একটি বইয়ে মলাটবন্দী করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়, লেখকের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ।
প্রকাশনা উৎসবের শুরুতেই দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। প্রকাশনা উৎসবটি সঞ্চালনা করেন সুবর্ণা নওয়াদীর। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক এলাইন্স-এর চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসানসহ আরো অনেকেই উপস্থাপনা করেন। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশ আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে সে পর্যায়ে পৌঁছানো শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার মতো মানবিক সরকার বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। আমরা ভাগ্যবান যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যাকে বাংলাদেশ নেতা হিসেবে পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বইটির লেখক রাজু আলীম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বইটিতে ৯৬ থেকে বর্তমান সময় অব্দি উল্লেখযোগ্য উন্নয়নগুলোকে তুলে ধরেছি। সেই সাথে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং সে অনুযায়ী নেয়া পদক্ষেপ, শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে লেখা এবং বঙ্গবন্ধুর ২২টি চিঠি স্থান পেয়েছে। সেই সাথে বইটিতে কিছু দুর্লভ ছবি দেখতে পাবেন পাঠকেরা।
এ ক্ষুদ্র প্রয়াস আগামী প্রজন্মের চেতনা জাগ্রত রাখতে সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন লেখক।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যে বিষয়গুলো দীর্ঘদিন অমিমাংসিত ছিলো, যে ইস্যুগুলো খুবই স্পর্শকাতর, যে ইস্যুগুলো নিয়ে কেউ কাজ করতে সাহস পান না, তা নির্দ্বিধায় করে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের দেশের জন্য অহংকার, নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বের জন্য বিস্ময়।
অনন্যা প্রকাশনীর কর্ণধার মনিরুল হক বলেন, নাম শোনার সাথে সাথেই বইটি প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করি। ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করে নয়, বরং এক ধরনের দায়বোধ থেকেই কাজটি করা। অনন্যা প্রকাশনী সব সময় দেশের উন্নয়নকে তুলে ধরতে প্রস্তুত থাকে।
‘দ্য ফ্লাগ গার্ল’ খ্যাত প্রিয়তা ইফতেখার বলেন, বইটি অনেক তথ্যবহুল। যা আমার মতো তরুণদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। এমন বই আরো হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রিয়তা।
১৯৭১ এর পর সর্বোচ্চ মেয়াদে থাকা সরকার প্রধানের নাম শেখ হাসিনা। তার সরকারের সকল অর্জনকে এক মলাটে বাঁধাই করাই লেখকের মূল উদ্দেশ্য। সেই সাথে সরকারে থাকা শেখ হাসিনার অতীত কষ্ট, শোককে শক্তিতে রূপান্তরের গল্প এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রূপকার হয়ে ওঠার রং-বেরংয়ের কথাগুলো মলাটবন্দী করার প্রয়াস থেকেই এই বই। এমনটাই জানান রাজু আলীম।
লেখক মনে করেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের কাছে বাঙালির ঋণ শোধ হবার নয়। নিজের এবং পরিবারের রক্তের বিণিময়ে লেখা নাম বাংলাদেশ। আগামী প্রজন্মের কাছে সেই ঋণের দায়মুক্তির তাগিদ থেকেই তিনি এ বইটি পাঠকদের জন্য লিখেছেন। বইটি বইমেলায় পাওয়া যাবে অনন্যার স্টলে।