চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজাকার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিচারের রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল-২। হত্যা, হামলা, লুন্ঠনের অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ। আর মামলায় ত্রুটি থাকার দাবি করে আসামীরা খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তাদের আইনজীবীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের রাজাকার মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ৩ অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। অভিযোগ প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষী দেন। আসামীপক্ষ সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য একজনের অনুমতি নিয়ে পরে আর সাক্ষীকে উপস্থাপন করেনি। ২২ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রাখার পর সিদ্ধান্ত রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২ ।
আসামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে ৩ নম্বর অভিযোগে কোন সাক্ষী দেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। এই অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ থাকার পরও সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে মনে করছেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, একটি চার্জের বিষয়ে মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর সাজা হয়েছিল। তারা যাবজ্জীবন সাজা কেটেছে। তা জানার পরে তারা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সেই চার্জের কোনো সাক্ষী মাননীয় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেননি। সেটি প্রমাণের জন্য কোনো চেষ্টাও তারা করেননি। কারণ এই বিষয়টি আগেই আদালতে প্রমাণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বাকি ২টি চার্জের ক্ষেত্রে যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের পক্ষ থেকে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাক্ষীরা। তাই তারা প্রত্যাশা করছেন মাননীয় ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচার করবেন।
আসামীপক্ষও রায় নিয়ে তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য এতটাই পরস্পর বিরোধী যে প্রসিকিউশন মামলাকে প্রমাণতো দূরের কথা, মামলাকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছেন। তাই আমরা আশা করছি মাননীয় ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেবেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আছে: পাকিস্তানি বাহিনীকে সাথে নিয়ে শিবপুর থানায় হামলা চালিয়ে ৩৯ জনকে অপহরণ পরবর্তী ২৪ জনকে হত্যা, এবাদত বিশ্বাস টোলা ও কবিরাজ টোলা গ্রামে হামলা করে ৭০টি বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং শিবগঞ্জ থানার কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ।