মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার রাজাকার কমান্ডার ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছে প্রসিকিউশন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে নেত্রকোনার রাজাকার কমান্ডার ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট। পরদিন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬ অভিযোগে আসামীদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠন হয় গত বছরের ২ মার্চ। উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউটর জানান, ওবায়দুল হক তাহের নেত্রকোনা সদরের রাজাকার কমান্ডার এবং আতাউর রহমান ননী রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, লুন্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং গণহত্যার সাথেও তারা জড়িত ছিলেন বলে উঠে এসেছে ছয়টি চার্জে। এবং এই আসামীরা সরাসরি পাকিস্তান আর্মিসহ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এই চার্জগুলো আমরা সাক্ষীদের মাধ্যমে এবং ডকুমেন্টারী সাক্ষীর মধ্যে দিয়ে মাননীয় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেছি।
মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। তিনি আরো বলেন, একটি চার্জ ছাড়া বাকি সবগুলো চার্জই প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছি। বিধায় এই আসামীদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রসিকিউশনের দাবী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থণা করে আমরা আমাদের নিবেদন শেষ করেছি।
২০১৩ সালের ৬ জুন এই দুই আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।