ম্যাচটা সিলেটের জন্য বাঁচা-মরার। হারলেই শেষচারের সম্ভাবনা পারতপক্ষে শেষ! এমন সমীকরণে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের পাশাপাশি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান জেসন রয়কে নিয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছে সিলেট সিক্সার্স। রাজশাহী কিংসকে ১৮১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের সব চেয়ে নীচের দলটি।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার সবুজ ঘাসে ভরা উইকেটে টস জিতে সিলেটকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। ২৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোয় প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছিল ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মিরাজ। কারণ ধারাভাষ্যকারদের মতে প্রথমে ব্যাটিং নেয়াই ছিল যুক্তিসঙ্গত। আগের ম্যাচের অধিনায়ক সোহেল তানভীরকে সরিয়ে সিলেটের নতুন অধিনায়ক অলোক কাপালি নিজেও চাচ্ছিলেন প্রথমে ব্যাট করতে।
জেসন রয় আসার পর বোঝা গেল প্রথমে ব্যাটিং নিলেই হয়তো ভালো করতেন মিরাজ। ডেভিড ওয়ার্নারের বিকল্প হিসেবে নেমে প্রথম ম্যাচেই ঝড় তুললেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। সেকুগে প্রসান্নার লেগব্রেকে বোল্ড হওয়ার আগে খেলেছেন ২৮ বলে ৪২ রানের মারকাটারী এক ইনিংস। ৪ চারের সঙ্গে সেই ইনিংসে ছিল দুই ছক্কার মার।
কিন্তু রয় ফিরতেই সিলেটের ব্যাটিংয়ে নামল ধস। দারুণ ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরান এ ম্যাচে ১৯ রানের বেশি করতে পারলেন না। ৩ চার ও এক ছক্কায় দারুণকিছুর আভাস দিয়েও আফিফ হোসেন ফিরলেন ২৮ রান করে।
এরপরও সিলেটের ১৮০ রান পাওয়ার পেছনে কৃতিত্বটা ভাগাভাগি করতে পারেন সোহেল তানভীর ও অলোক কাপালি। শেষ ১৫ বলে দুজনে নিয়েছেন ৪১ রান। তারচেয়েও বড় দায়টা রাজশাহীর বোলারদের একাধিকবার ওয়াইড ও নো-বল করে সিলেটের দুই ব্যাটসম্যানকে হাত খোলার সুযোগ করে দেয়া। শেষ ওভারে তো রীতিমত রান বিলিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এক নো ও ওয়াইডের সঙ্গে তিনটি চার দিয়ে মোট ২২ রান দিয়েছেন কাটারমাস্টার।
১০ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন সোহেল। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান কাপালির ব্যাটে এসেছে ১৬ রান।