হবিগঞ্জ থেকে আটক হওয়া মোস্তাক আহমেদ খাঁ ২০১৪ সালে জামায়াত-বিএনপি জোটের রাজনৈতিক সহিংসতার সময়ে প্রায় দুই কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন: ২০১৪ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোস্তাকের বিভিন্ন একাউন্টে তুরষ্ক থেকে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আসে। এ সময়ে দেশবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনে টাকাগুলো বিনিয়োগ করেন তিনি।
‘মোস্তাকের অননুমোদিত এনজিও ‘আল কাউছারের’ নামে বিভিন্ন একাউন্টে তুরষ্ক থেকে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আসার প্রমান পেয়েছি আমরা। সেসব অর্থ রোহিঙ্গা মুসলিমসহ বিভিন্ন দেশবিরোধী বেআইনী এনজিওতে ব্যয় করেন মোস্তাক।’
মোস্তাকের ভাষ্যমতে, অর্থগুলো মুসলিমদের কল্যাণে দান করা হয়েছে। এসব অর্থ তুরষ্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে দেশে মসজিদ-মাদ্রাসা তৈরির নাম করে আনেন মোস্তাক।
মোল্যা নজরুল ইসলাম আরো বলেন, মোস্তাক আগে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার ফেসবুক একাউন্টে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিপুল সংখ্যক ননাগরিক রয়েছে, যাদের সঙ্গে মোস্তাকের যোগাযোগ ছিল।
২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিপুল পরিমান অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া যায়।
নতুন করে মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় মোস্তাকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো টাকা এসেছে কি না কিংবা সে কোথায় কোথায় অর্থায়ন করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান মোল্যা নজরুল ইসলাম।
সোমবার (০৭ আগস্ট) হবিগঞ্জ থেকে মোস্তাককে গ্রেফতার করে সিআইডি। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী, বিস্ফোরকসহ ৫টি মামলা রয়েছে।