রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং শ্রেণী বৈষম্য নিরসনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির একাদশতম কংগ্রেসে নেতারা দুই বুর্জোয়া দলের বিকল্প হিসেবে সমমনা দল নিয়ে ঐক্য গড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব দলগুলোর মধ্যে সবথেকে পুরনো বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির একাদশতম কংগ্রেস ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দুপুরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাল পতাকাশোভিত মিছিল নিয়ে কংগ্রেসস্থলে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
প্রাথমিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দলটির চারদিনব্যাপী একাদশতম কংগ্রেস।
কংগ্রেসে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের পাশাপাশি অংশ নেয় দেশীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
রাজনৈতিক শূণ্যতা পূরণে ভবিষ্যতে সমমনা দল নিয়ে বিকল্প শক্তি গড়ার ইঙ্গিত দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার বলে, দেশে নাকি উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রকে আপাতত বাক্সবন্দী করে রাখতে হবে। তাই দেখি নির্বাচনের নামে চলে প্রহসন, চলে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস। এসব নাকি মুখ বুঁজে সহ্য করতে হবে, কারণ উন্নয়ন দরকার।
সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার গঠনের জন্য নেতা-কর্মীদের আরো বেশি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার নির্দেশ দেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি বলেন, আজ বুর্জোয়া শাসনের অবসান করতে হলে এই দুই বুর্জোয়া দলের বাইরে গিয়ে বামপন্থী ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ সরকার কায়েম করতে হবে।
কংগ্রেস শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। আর তাতেই খানিকটা ভাটা পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেসে যোগ দিতে আসা মানুষের উপস্থিতিতে।