চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাজধানীর বনশ্রীতে ১০ শিশু উদ্ধার

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় ১০ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে ১০ শিশু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই বাসায় নিবন্ধন ছাড়া একটি এনজিওর নামে শেল্টারহোম বানানো হয়েছিলো।

শিশু পাচার চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একটি ফ্লাট বাড়ি থেকে ১ নারীসহ ৩ এনজিও কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে পাচারের অপেক্ষায় থাকা ১০ শিশু। বনশ্রী এলাকার ১০ নম্বর রোডে এক সেনা কর্মকর্তার বাড়ির ৬ তলা ভাড়া নিয়ে সাইন বোর্ড ছাড়াই কাজ চালাচ্ছিলো ‘অদম্য বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও। ভেতরে থাকা বিভিন্ন বয়সের ১০টি শিশুকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো হতো।

কমলাপুর থেকে অপহৃত শিশু মোবারকের চাচা জানতে পারেন, মোবারককে ৬ মাস ধরে ওই বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ওই বাসা ঘিরে ফেলে এলাকাবাসী, আসে পুলিশ। তখনই ওই এনজিও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার ১০ শিশু জানায় তাদের আটকে রাখার কাহিনী।

মোবারকের চাচা মনির হোসেন বলেন, এক মহিলা মোবারকের পক্ষ থেকে তার অবস্থা চিঠি লিখে মোবারক যে মাদ্রাসায় পড়তো সেখানকার হুজুরকে জানান। সেখান থেকেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ওই মহিলাকে অনুরোধ করায় তিনি মনির হোসেনকে দূর থেকে এনজিও’র অফিসটি দেখিয়ে দেন। এনজিও কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, ওই শিশুরা ভবঘুরে হলেও তাদের আটকে রাখা কিংবা শ্রমে নিয়োগের বিষয়ে তারা পুলিশকে কিছু জানাননি।

মোবারকের অভিভাবক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মতিঝিল অপরাধ বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, শিশুদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হয় এখানে।

ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে এনজিও’র পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কিছু কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।

রোববার আদালতে পাঠিয়ে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ। ১০ শিশু কোথায় থাকবে সে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত।