রমজান মাস উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ টিসিবি। সারাদেশের ১‘শ ৭৯ টি পয়েন্টে ট্রাক এবং ২ হাজার ৯‘শ ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা এবং খেজুর বিক্রি করা হবে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা এবং খেজুরের চাহিদা রমজান মাসে বেড়ে যায়। একলাফে দামও বাড়ে কয়েকগুন। রমজানের এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে রাজধানীর ২৫ টি, চট্টগ্রামের ১০ টি এবং বিভাগীয় শহরগুলোর ৫ টি পয়েন্ট নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। বাজারে যেন এসব পণ্যের যেন সংকট তৈরি না হয় সেজন্য আগে থেকেই মজুদ রাখা হয়েছে।
রমজান মাস কেন্দ্র করে চিনি মজুদ করা হয়েছে ৮‘শ মেট্রিক টন, ছোলা ১৫ ‘শ মেট্রিক টন, ভোজ্য তেল সাড়ে ৪‘শ মেট্রিক টন, মসুর ডাল ৫‘শ মেট্রিক টন এবং খেজুর দেড়‘শ মেট্রিক টন। টিসিবি বলছে এর বাইরেও রাখা হয়েছে আপদকালীন মজুদ।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেছেন, সারাদেশে টিসিবি ১৭৯টি খোলা ট্রাক, ২৯২৪জন ডিলার এবং ১০টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা এবং খেজুর এই পাঁচটি পণ্য সাশ্রয়মূল্যে টিসিবি বিক্রি শুরু করেছে। আজকে থেকে শুরু হয়ে আগামী শেষ রমজান পর্যন্ত চলমান থাকবে এ বিক্রি।
ডিলাররা বলেছে, টিসিবি ট্রাকগুলোতে প্রতিদিন নায্যমূল্যে বিক্রির জন্য যে পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করছে চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। কারণ একজন ক্রেতা ৫লিটার তেল, ১কেজি খেজুর, ৪কেজি ছোলা, ৪কেজি চিনি এবং ২কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। যে পণ্য আমাদের দেওয়া হয়েছে তা ক্রেতাদের তুলনায় পরিমাণে খুব কম।
রমজান মাস উপলক্ষে চিনি ৪৩ টাকা, মসুর ডাল ৯০ টাকা,সয়াবিন তেল ১‘শ ৭ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজি ৯০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে টিসিবি।