হাইকোর্টের নির্দেশনার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত অপর দুই সাঁওতাল বিমল কিসকো ও চরন সরেনের হাতকড়াও খুলে দেওয়া হয়েছে। বিকাল ৪টার পর পুলিশ তাদের হাত থেকে হাতকড়া খুলে নেয়।
এর আগে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় ঢাকা এবং রংপুরে চিকিৎসাধীন আহত তিন সাঁওতালের হাতের হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীর দিনজেন টুডু’র হাতকড়া খুলে দেয় পুলিশ।
তবে এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে সাঁওতালরা। তাদের অভিযোগ: প্রশাসন একমুখে দুই কথা বলছে। তারা একদিকে ত্রাণ দিতে চাইছে, অন্যদিকে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে আমাদের জমি নষ্ট করছে। তাই আমরা প্রশাসনের কোনো ত্রাণ।
ত্রাণ না নিলেও সাঁওতালরা তাদের বাড়ি ভিটা ফিরে পেতে চাইছেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না সে শংঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের আখ কাটা নিয়ে পুলিশ-সাঁওতালদের সংঘর্ষে আহদের মধ্যে ২ সাঁওতাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ড অর্থো সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন বিমল কিসকো দু’পায়েই গুলি লেগেছে। চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে কি না সে শংঙ্কায় দিন কাটচ্ছে তার ।
হাসপাতালের ১৫ নং ওয়ার্ড সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চরন সরেন। তিনি তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটামাটিসহ পুড়িয়ে ফেলা বাড়ি-ঘর ফেরত চান।
পুলিশ পাহারায় হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় ওই দুই সাঁওতালের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক বলছেন, তাদের শারিরীক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। দ্রুতই তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন হাসপাতাল পরিচালক।