রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা রংপুর ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৩ রান। ৫২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন রনি তালুকদার। এ ওপেনার রান আউট হয়ে ফেরার পর পথ হারায় রংপুর। শেষ ৩ ওভারে ৩৩ রানের প্রয়োজন ছিল দলটির, হাতে ৭ উইকেট।
১৮তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিব দেন মাত্র ২ রান, তুলে নেন একটি উইকেট। পরের ওভারে লুক উড ৩ রানে নেন দুটি উইকেট। শেষ ওভারে ২৮ রানের প্রয়োজন পড়ে রংপুরের। রুবেল হোসেন প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হজম করলেও শেষের চার বলে কোনো রান দেননি। শেষ বলে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে জয়ের উদযাপনে মাতেন।
নিকোলাস পুরান ১৪ বলে ৪টি ছয় ও একটি চারে করেন ৩০ রান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ৩৩ রান করেন।
৬৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর রনি ও সোহান মিলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। ১৭.১ ওভারে তানজিমের বলে সোহান আউট হলে ভাঙে ৮২ রানের জুটি। রংপুরের সংগ্রহ তখন ১৫০/৪। তখনও জয়ের পাল্লা ভারী ছিল দলটির। একই ওভারে সেট দুই ব্যাটার আউট হওয়ার পর একের পর এক উইকেট হারায় তারা। উড তিনটি, রুবেল ও তানজিম নেন দুটি করে উইকেট।
মিরপুরে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলগত পারফরম্যান্সে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে সিলেট।
রায়ান বার্ল ৬ বলে ১৫ ও জাকির হাসান ১৩ বলে ১৬ রান করেন। মুশফিকুর রহিম ছাড়া সবাই দুই অঙ্ক পেরিয়েছেন। এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন।
৮.৫ ওভারে সিলেটের দুই ওপেনার হৃদয় ও শান্ত গড়েন ৬৫ রানের জুটি। তিনে নেমে মাশরাফীর ঝড়ো ইনিংস ও অন্য ব্যাটারদের নৈপুণ্যে প্রত্যাশিত পুঁজিই পেয়েছে দলটি।
রংপুরের হাসান মাহমুদ ও দাসুন শানাকা দুটি করে উইকেট নেন। মেহেদী হাসান ও ডোয়াইন ব্রাভো একটি করে উইকেট পান।
প্লে-অফ রাউন্ডে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেটকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত করে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ সিলেট। এটি হবে মাশরাফীর পঞ্চম বিপিএল ফাইনাল।