ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রাজধানীতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ১১টার পর নারীদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি আইন জারি করা হয়েছে।
নারীদের প্রতি একপাক্ষিকভাবে এই কার্ফিউ আরোপের যুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এতে করে নারীদের উপর যৌন সহিংসতা কমবে। কিন্তু সমালোচকেরা এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন।
বান্দা আচেহ’র মেয়র ইলিজা সালাউদ্দিন জামাল নিদের্শ দিয়েছেন যে রেস্টুরেন্ট, স্পোর্টস সেন্টার, ইন্টারনেট ক্যাফে এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে নারীরা যেনো রাত ১১ টার পরে আর সেবা না পায়। তবে তাদের সাথে স্বামী বা পরিবারের অন্য কোন পুরুষ সদস্য থাকলে তারা এ সেবা লাভ করতে পারবে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাত ১১ টার পরে নারীদের কাজ করার ব্যপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশনা গত ৪ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।
একই নির্দেশনায় রাত ১০টার পরে কোন অভিভাবক ছাড়া শিশুদের বাইরে থাকার ব্যপারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার নারী ও শিশুদের অধিকারের জন্য কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিনিক রাহাউ বলেন, এই নির্দেশনা বৈষম্যমূলক এবং দেশটির সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এই নীতি নাগরিকদের রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ করে বলে তিনি জানান।
নারীদের গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করাকে শোষণমূলক অভিহিত করে মেয়র জামাল বলেন, এতে করে নারীদের যৌন সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। এই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং শ্রম আইনের সাথে এই নিদের্শনা সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানান জামাল। তিনি আরো বলেন, নারী কর্মী বিশেষত যারা বিনোদন কেন্দ্রে কাজ করেন তাদের রক্ষা করাই এ আইনের লক্ষ্য।
২০০৬ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আচেহ প্রদেশে ইসলামিক শরিয়াহ এর একটি সংস্করণ বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো।