চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মাত্র ৩ মাসে জাতিসংঘ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ৪০ অভিযোগ!

২০১৭ সালের শুধু শেষ তিন মাসেই বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন শোষণ ও নির্যাতনের ৪০টি অভিযোগ পেয়েছে জাতিসংঘ।

এর মধ্যে ১৫টিই বিভিন্ন শান্তিরক্ষা অভিযান চলাকালে ঘটেছে বলে অভিযোগ এসেছে। বাকি ২৫টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে জাতিসংঘের কিছু সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচির কাছ থেকে। সেখানে ৮টি অভিযোগ বিভিন্ন প্রয়োগকারী অংশীদারী সংস্থার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট।

অভিযোগের এই তথ্যটি জানিয়েছেন জাতিসংঘ মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি ঘোষণা দিলে বিষয়টি সংবাদ আকারে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

দুজারিক বলেন, সবগুলো অভিযোগ পুরোপুরি যাচাইবাছাই শেষ হয়নি এখনো। অনেকগুলোই এখনো প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত দু’টি অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সত্য এবং তিনটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলোর মধ্যে ১৫টি তদন্তের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে, ১৮টি প্রাথমিক তদন্তাধীন এবং দু’টি সীমিত তথ্যের কারণে পর্যবেক্ষণে আছে।

তিনি জানান, ৪০টি অভিযোগের মধ্যে ১৩টি যৌন নির্যাতন, ২৪টি যৌন শোষণ এবং তিনটিকে অজ্ঞাত প্রকৃতির যৌন নিপীড়নের শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।

অভিযোগে ভুক্তভোগী হিসেবে ৫৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক নারী আর ১৬ জন ১৮ বছরের কমবয়সী কিশোরী। বাকি ৮ জনের বয়স এখনো জানা যায়নি।

যৌন নির্যাতন-জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক

জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘের সাথে ৯৫ হাজারের বেশি বেসামরিক ও ৯০ হাজারের বেশি ইউনিফর্মযুক্ত কর্মী কাজ করেন। তাই যৌন নির্যাতন ও শোষণের এই ঘটনাগুলো এই সংস্থার সংখ্যাগরিষ্ঠ নিবেদিতপ্রাণ নারী ও পুরুষ কর্মীর কর্মকাণ্ডের প্রতিনিধিত্ব করে না।’

‘আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে এ জাতীয় প্রত্যেকটি অভিযোগ আমাদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে খাটো করে এবং তাদের সবার আত্মত্যাগকে ছোট করে, যারা গর্ব এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন,’ বলেন তিনি।

যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোর মধ্যে ১২টি ২০১৭ সালেই সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া ৭টি ২০১৬-তে ও ৩টি ২০১৫ বা তার কিছু আগে ঘটেছে। ১৮ টি ঘটনা সংঘটনের সময় অজানা।

প্রমাণিত অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়ছে জাতিসংঘ। আরও নতুন কিছু পরিকল্পনা চলছে এ ব্যাপারে।