চলতি বাজেটের মতো প্রস্তাবিত বাজেটেও যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ খাতে এবার সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর এ নির্মাণ কাজই বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সক্ষমতা। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সঙ্গে এখন দেশে ১০টি মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে, সড়ক-মহাসড়কেও চলছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
প্রস্তাবিত বাজেটেও উন্নয়নকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এ উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে যোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৪১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮ শ’ ২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের জন্য বরাদ্দ ৮ হাজার ৪শ কোটি, রেলপথ উন্নয়নে ১৩ হাজার কোটি, নৌপরিবহনে ২ হাজার ১শ ৮৫ কোটি এবং বেসামরিক বিমান চলাচলে ৬শ ৪৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ২১ হাজার ৫শ ২৪ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কসহ আরও ৩৭৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে।
রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনে শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোডে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।