বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিচ্ছেন ফিলিপিন্সের জুয়ার বাজারের অপারেটর কিম উং। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান অভিযুক্ত কিম ওং জানিয়েছেন, দু’জন বিদেশি নাগরিক ৮
কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে নিয়ে গিয়েছিলো।
১ কোটি ৮০ লাখ ডলার হাত করা
অভিযুক্ত চীনা নাগরিক ওয়েকিং জু এর পাসপোর্টের কপি জব্দ করেছে ফিলিপিন্স। কিম উংকে আইনজীবীরা ‘মিসিং লিংক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। কারণ তার সাক্ষ্য ধরেই পূরণ করা যাবে তদন্তের ফাঁক।
উংয়ের আইনজীবী ভিক্টর ফার্নান্দেজ সোমবার এক মোবাইল বার্তায় বলেন, তার ক্লায়েন্ট (কিম উং) অন্তত ১ মাস পর চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে সিনেট ব্লু রিবন কমিটির সামনে ছাড়া আর কোনো রুদ্ধদ্বার মিটিং তার সঙ্গে হবে না।
বাংলাদেশের ব্যাংকের চুরি যাওয়া অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে ফিলিপাইনে ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেখান থেকে টাকাগুলো দুটি ক্যাসিনোতে ছড়িয়েছে। এছাড়াও ২০ মিলিয়ন ডলার গেছে শ্রীলঙ্কায়।
‘কিম উং বেশ খেলুড়ে এবং সে একটা মিসিং লিংক এই মামলায়’, এমনটাই বলেছিলেন সিনেটর সেরগিও ওসমেনা।
এর আগে সোমবার এক সাক্ষাতকারে কিম বলেন, আমি দুজন বিদেশীর নাম জানাবো যারা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় আমি নিজেও আক্রান্ত হয়েছি। কারণ ক্যাসিনো আমার ব্যবসা। আমি জানি না টাকাগুলো কোথা থেকে এসেছিলো।
ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল রেগুলেটরে এই মাসে ফাইল হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উং ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানী লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার। সে একজন ক্যাসিনো অপারেটরও।