প্রবাসী লেখক এ কে এম আব্দুল্লাহ রচিত “যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি” কাব্যগ্রন্থটিতে ফুটে উঠেছে ব্যক্তিক আবেগ, সামাজিক অসঙ্গতি, সামাজিক দায়িত্ববোধ, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধের মিশেলে ব্যক্তিক দায়িত্ববোধের সচিত্র প্রতিবেদন। কবিতার বইটি এবছর অমর একুশে গ্রন্থমেলাতে বাসিয়া প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বাঙালির হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য সংস্কৃতির ইতিহাসকে বেমালুম ভুলে ধার করা সংস্কৃতির গ্রহণকে কবি তিরস্কার করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এই যে ধার করা সংস্কৃতির উপর আমাদের নির্ভরশীলতা এবং এর ধরুণ আমাদের সাহিত্যে তৈরি হচ্ছে না নতুন কোন রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল। এই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে নিমজ্জিত হতে চলেছে। তার কবিতায় আরও ফুটে উঠেছে গ্রাম বাংলার আশৈশবের চিত্র তুলে ধরেছেন। মমতাময়ী মায়ের আদর, বাবার শাসনের দৃশ্যগুলো স্মৃতির আয়নার সেলফিতে বন্দি ব্যতিরেকে অবশিষ্ট আর কিছু নেই। কৃত্রিমতার জৌলুসে যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ব্যত্যয় না হয় সেদিকে মনোনিবেশনের জন্য কবিতার মাধ্যমে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। কবি তার লেখনির মাধ্যমে প্রেম ভালবাসার বাধাস্বরূপ রূপক অর্থে জঙ্গীবাদের প্রসঙ্গকে তুলে এনেছেন।
বইটিকে বিশেষত্ব দিয়েছে কবির কাব্যরস, কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে জটিল বিষয়কে সহজভাবে ফুটিয়ে তোলার সৌখিনতা কবিকে অন্যদের চেয়ে সহজেই আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে। কাব্যসুধা, কবিতা পিপাসু পাঠকরা সহজেই কাব্যগ্রন্থটিতে কবির বিশেষত্বকে চিহ্নিত করে কবিতার মানের বিচার বিশ্লেষণ করতে পারবে। মনে হয় কবিতাগ্রন্থটি কাব্যপিপাসুদের মনের খোরাক মেটাতে সক্ষম হবে।