যেকোনো বিবেচনায় তিনি মিডলঅর্ডারের অন্যতম ভরসা। বর্তমান দলটার স্মরণীয় কিছু জয়ের অন্যতম কারিগরও। কিন্তু সাদা পোশাকে ঠিক যেন নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। একাদশ থেকে ছিটকে যেতে হল। তবে সাকিবের স্বেচ্ছা বিশ্রাম অনুমোদন পাওয়ায় আর চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারলেন না নির্বাচকরা। অভিজ্ঞতার বিচারেই আবারও তাই টেস্ট দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সোমবার বিকেলে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তাতে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সাউথ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে বিমানে চাপা দলের সঙ্গী হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহও। যাতে কাজ করেছে প্রধান নির্বাচকের ব্যক্তিগত চাওয়াও।
‘সে বাউন্সি উইকেটে ভালো ব্যাট করতে পারে। যেখানে বল দ্রুত ব্যাটে আসে। আমরা তাই চিন্তা করেছি ওর কথা। সেই বিবেচনাতেই ওকে রাখা হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ বাদ পড়েছিলেন গত শ্রীলঙ্কা সিরিজে। মার্চে গলে বাংলাদেশের শততম টেস্টে বাদ পড়ার পর ওয়ানডেতেও জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিতে ওঠার পথে নিউজিল্যান্ডকে হারানো জয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রঙিন পোশাকে অটোমেটিক চয়েসে থাকলেও ঘরের মাঠে অজি সিরিজে টেস্টে উপেক্ষিতই থাকলেন। তিন টেস্ট বাইরে থাকার পর আবারও ডাক মিলল। সুযোগ মিলল থমকে যাওয়া টেস্ট ক্যারিয়ারকে পুনরুজ্জীবিত করার।
সেই পথে মাহমুদউল্লাহকে বেশি করে দলে চেয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচকই। মিনহাজুল আবেদিন জানালেন, তিনিই খুব করে দলে চাইছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে।
‘ব্যক্তিগতভাবে আমিই ওকে দলে চেয়েছি। ইংল্যান্ডে ভালো করেছে। স্কয়ার অব দ্য উইকেটে সবসময়ই ভালো সে। ওর উপর আমার অনেক আস্থা। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ওকে নিয়ে। তাই ওকে দলে চেয়েছি।’
৩৩ টেস্ট খেলা মাহমুদউল্লাহর দলে ফেরার পেছনে অবশ্য কাজ করেছে সাকিবের বিশ্রামের বিষয়টিও। প্রধান নির্বাচক অভিজ্ঞতার ঘাটতি অভিজ্ঞতা দিয়ে নিরূপণের বিষয়টিও যোগ করলেন, ‘সাকিব যেহেতু নেই। সিনিয়র, অভিজ্ঞ একজন ব্যাটসম্যান দরকার ওখানে। সেই চিন্তায়ও মাহমুদউল্লাহকে দলে রাখা।’
ক্রিকেটপ্রেমীদের চাওয়া ছিল তাকে দলে ফেরানোর। টিম ম্যানেজমেন্টও চাইল। সাড়া দিলেন নির্বাচকরাও। এখন কাজটা মাহমুদউল্লাহর নিজের। সাউথ আফ্রিকায় ব্যাট কথা বললেই হয়।