ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দলে ভালোভাবে ফিরতে হবে, ভাবনার জায়গা ছিল এটুকু। টেস্ট খেলা নিয়ে ভাবনাই ছিল না। সেই নাসির হোসেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার হয়ত নিজেও চমকে গেছেন। নাসিরের ফেরা যেমন চমক; মুমিনুল হকের বাদ পড়া ততটাই অবাক করার মতো।
নির্বাচকদের দল ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে ‘মুমিনুল কেন বাদ’ এ প্রসঙ্গটি বার বার উঠে এল। মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া কিংবা নাসির-শফিউলের ফেরা নিয়ে কথা হল কমই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাসিরকে ফেরানো নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু যে যুক্তি দেখিয়েছেন তাতে বোলিংটাও পেয়েছে গুরুত্ব।
‘অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। মিরাজের সঙ্গে অ্যাডিশনাল অফস্পিন করতে পারে, ব্যাটিং করতে পারে সেটা আমরা চাচ্ছি। শেষ হোম সিরিজে যেটা শুভাগত হোম আমাদের হয়ে করেছে। সেই হিসেবে নাসির রয়েছে।’ বলেন প্রধান নির্বাচক।
পরে হেড চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যে তথ্য দিলেন তাতে বোঝা গেল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জায়গায় ভাবা হয়েছে তাকে। যদিও সৈকতকে রেখেই ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ সদস্যের দল।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘মোসাদ্দেক চোখে আঘাত পেয়েছিল। সে ভালো অবস্থায় নেই। তার ব্যাকআপ হিসেবেই নাসির এসেছে।’
নাসির সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর আর টেস্ট দলে ডাক পাননি। দুই বছর পর আবার ফিরলেন দলে। ঘরোয়া ক্রিকেট ও নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচে তার পারফরফ্যান্স ছিল নজরকাড়া।