রোজার সময় ভাজা পোড়া খেতে খেতে এক ঘেয়ামি চলে আসে। তাই মুখের স্বাদ বাড়াতে বাসায় বসে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন মজাদার সব শরবত। সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সেই পানি শূন্যতা দূর করতে ইফতারের সময় দরকার হয় তরল জাতীয় খাবার। আর ভিন্ন স্বাদের শরবতই দিতে পারে আপনার প্রাণ জুড়িয়ে।
ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা লেবুর শরবত
উপকরণ : কাগজি লেবু ২টি, চিনি পরিমান মতো, বিট লবণ সামান্য, বরফ কুঁচি পরিমান মতো, পানি পরিমান মতো।
প্রস্তুত প্রনালি
লেবুর রসের সঙ্গে সব কিছু উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড হয়ে গেলে আকর্ষণীয় শরবতের গ্লাসে ঢেলে পরিমান মতো বরফ কুঁচি দিয়ে ইফতারের সময় নিজেকে পরিতৃপ্তি করুণ।
মজাদার আনারস শরবত
উপকরণ
পাকা আনারস ১টি, চিনি পরিমান মতো, গোলমরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ, চিনি ২ চা চমচ, পানি পারিমান মতো, বিট লবণ সামান্য, বরফ কুঁচি সাজানোর জন্য।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে আনারসটি কুড়িয়ে নিন। তারপর একসঙ্গে বিট লবণ, চিনি, গোল মরিচ ও পানি মিশেয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস হয়ে গেলো মজাদার আনারসের শরবত। ইফতারের সময় সুন্দর পাত্রে ঢেলে পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করুণ মজাদার এ শরবত।
সবুজ শসার শরবত
উপকরণ
শসা ২টি, ধনে পাতা কুঁচি আধা টেবিল চামচ, বিট লবণ পরিমান মতো, চিনি স্বাদ মতো, পানি পরিমান মতো।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে শসার খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার শসার বিচিগুলো বাদ দিয়ে শসাকে টুকরো করে নিন।এপর সব উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ইফতারের সময় শসার শরবত পরিবেশনের আগে বরফ কুঁচি ও ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুণ অন্যরকম শরবত।
ডেলিসিয়াস কলা ও বাদাম শরবত
উপকরণ
কলা ২ টি, গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ, কাঠ বাদাম কুঁচি, পেস্তা বাদাম কুঁচি, কিসমিস স্বাদ মতো, পানি পরিমান মতো, মিষ্টির জন্য চিনি সামান্য পরিমান, বরফ কুঁচি।
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে কলার খোসা ছাড়িয়ে ছোট করে কেটে নিন। এরপর সব উপকরণ মিশেয়ে ব্লেন্ড করে তৈরি করে ফেলুন ডেলিশিয়াস কলার শরবত।
ররফ কুঁচি ও বাদাম কুঁচি মিশিয়ে ইফতারের ছোট বড় সবাই উপভাগ করুণ মজাদার কলা ও বাদাম শরবত।