চুক্তির দুদিনের মাথায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস সরকারি অনুদানের ছবি ‘আশীর্বাদ’ থেকে নিজে সরে এসেছেন বলে দাবি করলেও প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস এক ভিডিও বার্তায় বললেন, ‘অপু বিশ্বাস সরে যাননি, তাকে বাদ দেয়া হয়েছে’।
করোনার মধ্যে শুটিং করতে চাইছেন না অপু বিশ্বাস। তাই তিনি ছবিটি করছেন না বলে গণমাধ্যমে জানান। তবে মঙ্গলবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস বললেন, ‘আশীর্বাদ’ থেকে সরে যাননি অপু বিশ্বাস, বরং তাকে এই ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
চুক্তির একদিন পরেই কেন বাদ দেয়া হলো? জানতে চাইলে এই প্রযোজক জানান, এ বিষয়ে নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দিবেন তিনি।
পরবর্তীতে দেয়া সেই ভিডিওতে অপু বিশ্বাসকে ‘আশীর্বাদ’ থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন জেনিফার। তিনি বলেন, চুক্তির সময় অপু বিশ্বাস নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এসে স্থিরচিত্র, ভিডিও করেছেন এবং প্রযোজকের অনুমতি ছাড়াই সাইনিংয়ের এসব কিছু তার ইচ্ছে মতো নিজের চ্যানেলে ব্যবহার করেছেন। যা তাকে আগেই নিষেধ করে দিয়েছিলাম, অনুমতি ছাড়া প্রকাশ না করতে। কিন্তু অপু বিশ্বাস এসব নিষেধ না শোনায় গতকাল (সোমবার) রাতেই পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সঙ্গে আলাপ করেই তাকে বাদ দেই।
তিনি কলেন, প্রযোজকের ইউটিউবে এসব আপলোড করিনি, কিন্তু আগেই অপু আপলোড করে দিয়েছে এসব কন্টেন্ট। যখন তাকে নিয়েছিলাম বিশ্বাস ছিল পেশাদারির জায়গা থেকে সে সিনিয়র শিল্পী। সবকিছু বুঝবে। কিন্তু তার কাজে সেসব কিছু দেখিনি। দুদিন আগেই ছবিতে সাইন করে আজ ছবি থেকে সরে গেছি বলে ইন্টার্ভিউ দেয়াটাও একটা ছেলেমানসি মনে হলো।
দুদিন আগেও করোনা ছিল। এখনও আছে। তাই সবকিছু মিলিয়েই ভেবেচিন্তে অপুকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেনিফার ফেরদৌস। মুঠোফোনে জেনিফার ফেরদৌস বলেন, আশীর্বাদ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনো নায়ক বা নায়িকা নন। একজন অটিস্টিক শিশু। অপু নিজেকে ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের নায়িকা বলে ইন্টার্ভিউ দিয়েছে তাতে আমি কিছু মনে করিনি। কিন্তু সে প্রযোজকের অনুমতি বা পরিকল্পনা না মেনে নিজের মত করে ছবি ভিডিও আপলোড দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ সকালে অপু বিশ্বাস তার সেই ক্যামেরা ম্যানের মাধ্যমে সাইনিং ফেরত পাঠিয়েছে। নতুন নায়িকা কে হবেন তাও ঠিক করেছি। দু-একদিনের মধ্যেই ঘোষণা দেব। এদিকে, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, প্রযোজক ও অপু বিশ্বাসের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এতে আমার কিছু বলার নেই।