যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ হয়েছিল সোহাগপুর গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়। এ অভিযোগটিতে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। চারজন বিচারপতির মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ওই রায় বহাল রাখা হয়।
বিচারপতিদের তাদের মধ্যে প্রধানবিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুদণ্ডের রায়
বহাল রাখেন। তবে বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার নেতৃত্বে শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চলানো হয়। কামারুজ্জামানের পরিকল্পনায় ও নির্দেশে ৭১ সালের ২৫ জুলাই ভোরবেলা রাজাকার, আলবদরসহ সেনাবাহিনী সোহাগপুর গ্রাম ঘিরে ফেলে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষদের হত্যা করে। এদিন ওই গ্রামের প্রায় ১৭০ জন মহিলাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়।
এরপর থেকে ওই গ্রাম ‘বিধবাপল্লী’ নামে পরিচিত লাভ করে।