চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে রাশিয়া-ইউক্রেনমুখী জাতিসংঘ মহাসচিব

যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে আজ রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অন্যদিকে কিয়েভ সফরে গিয়ে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইউক্রেনে যেন আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ করা না হয় সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস প্রথমে মস্কো সফর করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পরে কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর। দুদেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করা এবং ইউক্রেনের জনগণের পরিস্থিতির উন্নতি এবং দেশটিতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতে তাঁর এ সফর বলছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই রোববার কিয়েভ সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তারা ইউক্রেনকে আরো সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয়ার পরপরই বিদেশী অস্ত্র পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ইউক্রেনের রেলওয়ের ছয়টি সাবস্টেশন ধ্বংস করার দাবি করে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তা ইউক্রেন যাতে কাজে লাগাতে না পারে সেজন্য এ পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।

তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সামরিক সরবরাহ রুটে আঘাত করতে রেল জংশনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে রাশিয়া। হামলার সময় অন্তত পাঁচ বেসামরিক নাগরিককেও হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশে নৃশংসতার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এজন্য ইউক্রেনকে আরো আরও ৭১৩ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।

তবে ইউক্রেনে যেন আর কোনো অস্ত্র সরবরাহ করা না হয় সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেনে অস্ত্র ঢেলে দিচ্ছে, তখন তারা এই পরিস্থিতির অগ্রহণযোগ্যতার ওপর জোর দিয়েছেন। বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে ওয়াশিংটনে অফিসিয়াল কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটে একযোগে সদস্যপদ আবেদন জমা দিতে রাজি হয়েছে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। সুইডিশ সংবাদপত্র এক্সপ্রেসেন সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।