চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি দাবিতে যে গণজাগরণ তা ছড়িয়ে পড়ুক সব ইস্যুতে

যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না দিয়ে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল, তারপরে যা হয়েছিল তা ইতিহাস। কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পরেই তার ফাঁসির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ চত্ত্বরে বসে পড়েছিলেন একদল তরুণ ব্লগার ও সাধারণ সাংস্কৃতিক কর্মী। ক্ষোভে-দ্রোহে তাদের দেয়া শ্লোগান ছড়িয়ে পড়েছিল রাজধানী থেকে সারাদেশে। জনস্রোত পরিণত হয় গণজাগরণে। কোনো সহিংস আন্দোলন ছিল না সেই গণজমায়েত। শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে তারুণ্যের ক্ষোভ ও জোরাল দাবি যে গোটা দেশকে বেঁধে ফেলতে পেরেছিল, সেটাই ছিল তারুণ্যের বড় অর্জন। যদিও এ জন্য প্রাণহানি আর অসংখ্য হামলাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয় মঞ্চের আদর্শ ও সাংগঠনিক কর্মসূচির সঙ্গে থাকা অনেককে। তারপরেও কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে জমায়েত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর সর্ব্বোচ শাস্তির দাবি থেকে রায় কার্যকর হওয়া পর্যন্ত মাঠে থেকে জনতার শক্তির প্রকাশ ঘটছে সেই ২০১৩ সাল থেকেই। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে বিভক্তি আর ঘৃণার রাজনীতির কারণে অনেকসময় দেশের প্রয়োজনেও আমরা এক হতে পারছি না। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি আর দলেই বাইরে গিয়ে বৃহত্তর জনদাবি যে জাগরণে পরিণত হতে পারে তা ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন রকম মূল্যায়ন থাকলেও, দেশের সমসাময়িক রাজনীতি আর বিভিন্ন প্রয়োজনে এধরণের একাত্বতা আমাদের বহুল প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। জনদাবির অংশ হিসেবে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি ও জমায়েতের প্রতি সরকারের যে শ্রদ্ধা ও সমর্থন ছিল, তাও গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আমরা চাই, দেশের অন্যান্য গণদাবি ও আন্দোলনের প্রতিও গণজাগরণ মঞ্চের মতো সম্মান দেখাক সরকার, গণজাগরণ মঞ্চের মতো বিভিন্ন গণদাবি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করুক।