বিচার হয়ে যাওয়া এবং বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে যুদ্ধাহত, বিধবা, বীরাঙ্গনা এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে আইন সংশোধন বা নতুন আইন করে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যাকারী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, বিধবা, এতিম এবং অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নবাসনের দাবিতে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির এই সংবাদ সম্মেলন।
যুদ্ধাপাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পক্ষে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাবেক দুই বিচারপতি। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, যারা যুদ্ধাপারাধে দণ্ডিত হয়েছে বা অভিযুক্ত হয়েছে তারা কোন রিলিফের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোনভাবেই ১০২ অনুচ্ছেদে কোন প্রকার রিট করে কোনভাবেই প্রতিকার লাভ করতে পারবেনা।
আরেক হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অবস্থান সংবিধানের উপরে। এই আইনের কোন অনুচ্ছেদ যদি সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক হয় সেই ক্ষেত্রে এই আইনের প্রাধান্য হবে সংবিধান সেখানে স্থগিত থাকবে।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি বিশিষ্টজনদের।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল শিল্প বাণিজ্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনজিও শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, শহীদের, নির্যাতিতদের অধিকার সমাজে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করলে একটা গণতান্ত্রিক সুষ্টু পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী বলেন, আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন সরকার এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সহকারে দেখে।
এছাড়া সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুততর করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।