চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের গর্জন কানে বাজতো

সরোয়ার রানা: ছোটবেলা থেকে সমুদ্রের গর্জন, নদীর কলকল ধ্বনি, টিনের চালায় বৃষ্টির শব্দ বেশ আকর্ষণ করে; মনে অন্য রকম আনন্দ ও প্রশান্তি অনুভূত হয়। সেই তাড়নায় মনে হতো যেন সুদূর আমেরিকা থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের গর্জন আমার কানে বাজতো যেন দুহাত বাড়িয়ে ডাকতো। নায়াগ্রা ফলস প্রকৃতির মহাবিস্ময় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জলপ্রপাত যা ছোটবেলা থেকে টিভিতে পত্রিকায় বইয়ের পাতায় আমরা দেখে আসছি। বিশ্ব বুকে এই জলপ্রপাতের নাম শুনেনি এমন লোক কমই পাবেন।
আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল বিশ্বের আকর্ষণীয়, ভয়ঙ্কর সুন্দর নায়াগ্রা ফলস দর্শনে যাব।

নায়াগ্রা জলপ্রপাত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। নায়াগ্রা জলপ্রপাতটি, এক সময় তাদের বিশেষ পরিচিতি বহন করতো। এই জলপ্রপাত প্রকৃতির সৃষ্ট বিস্ময়কর এর জলপ্রপাত,পানি পতনের দিক থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাত সবচেয়ে বৃহৎ, মিনিটে প্রায় ছয় মিলিয়ন ঘনফুট পানি জলপ্রপাত দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত তার সৌন্দর্য এবং জলবিদ্যুৎ শক্তি একটি মূল্যবান উৎস হিসাবে উভয় বিখ্যাত। এছাড়াও চলচ্চিত্র, শিল্প সাহিত্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সৌন্দর্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অনেকের কাছে নায়াগ্রা ফলস মধুচন্দ্রিমার জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে মনে করেন। বসন্তের শেষের দিকে বা গ্রীষ্মকালের শুরুতে জলপ্রপাত গুলো থেকে সেকেন্ডে ২০২,০০০০ ঘন মিটার পানি পতিত হয়।

প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভ্রমণ বিলাসি তাদের সৌন্দর্য পিপাসা মেটাবার জন্য দেশদেশান্তর থেকে ছুটে আসেন এখানে ।

আবুধাবি থেকে এই মায়াবী জলপ্রপাত দেখার জন্য রওনা দিলাম নিউইয়র্কের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছে উঠলাম আত্মীয়ের বাসায়। ওনি আমার নানা নাম আইয়ুব। ওনাদের মাধ্যমে পরিচয় হল তার গ্রামের প্রতিবেশী, খোকন বাবু ভাইয়ের সঙ্গে।

তিনি খুব মিশুক আর ভ্রমণ পিপাসু, সহজ সরল একজন মানুষ। আমি যেহেতু একা তাই আমাকে সঙ্গ দিতে আমার সাথে যেতে রাজি হলেন যা আমেরিকার মতো যান্ত্রিক শহরে বিরল। বাফেলোতে বাস, ট্রেন, আর বিমান যোগে যাওয়া যায়।

আমরা নিউইয়র্ক গ্রে হাউন বাস স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে বাফালো বাস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হলাম। আমরা পরদিন ভোর ৪.৩০ মিনিটে পৌঁছলাম। তখন আবহাওয়া অনেক খারাপ। ঠাণ্ডা কনকনে বাতাস বইতে ছিল। আমি প্রথমে মনে করছিলাম বৃষ্টি হচ্ছিল। পরে বুঝলাম বরফ পড়ছে। সেখান থেকে আমাদের যেতে হবে নায়াগ্রা ফলস। আমরা দুজনের জন্য টিকিট কাটলাম মেশিন থেকে। কিন্তু পরে দেখলাম টিকিট কাটা হল নায়াগ্রা ফলস কানাডা সাইডের দিকে। টাকাটা পানিতে গেল। পরে জানলাম নায়াগ্রা ফলসের বাস আছে, যা ছাড়বে ভোর ৬টায়। হালকা নাস্তা সেরে বাসে উঠলাম। বাস খুব আস্তে আস্তে চলতে লাগল। কারণ বাইরে তুষারপাত হচ্ছিল। বাস আস্তে আস্তে আমাদের গন্তব্যের দিকে ছুটল। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে আমরা পৌঁছলাম নায়াগ্রা ফলস বাস স্টেশন। গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতেই কানে আসল একটা তীব্র বেগে পানি পতনের আওয়াজ। জলপ্রপাতের গর্জন শুনতেই পলকেই আমার দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি দুর হয়ে গেল। শব্দ কানে আসতেই নিমিষেই সমস্তশরীর পুলকিত ও রোমাঞ্চিত হলাম।

ওইখানে তাদের নিজস্ব বাস পরিবহন আছে। যা পুরো নায়াগ্রা ফলস এলাকা ও আরও কিছু স্থানীয় দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখান। আমরা বাস না নিয়ে পায়ে হেটে র্ঝনার দিকে এগুলাম। এদিকে তুষারপাতের পরিমাণ আরো বেড়ে গিয়ে রাস্তাঘাট সাদা ছাদরে ঢেকে দিচ্ছিল। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা দরকার, আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল এক দিন পরে গেলে আমরা আটকা পড়তাম, পরের দিন টানা তুষারপাত রাস্তা বন্ধ হয়ে পাঁচ ফুট বরফের স্তর জমেছিল। যাই হোক বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়ে চললো, চার পাঁচটা গরম কাপড় থাকার পরও বেশ ঠাণ্ডা অনুভব করছিলাম। কিন্তু দমবার পাত্র আমরা কেউ নই । আমরা অনেকটা ঘোরের মধ্যে সামনেই এগিয়ে ঝর্নার কাছে পৌঁছালাম। ঝর্নার সেই কি গর্জনসেকি তাণ্ডব। পানি প্রচণ্ড বেগে ছুটে ঝর্নার ধারে আঁচড়ে পড়ছিল।

চারিদিকে কুলুকুলু রব আর গাঙচিলের ডাক আর পানির গর্জন, এখানে জলপ্রপাতের পানি পতনের কলকল গর্জন কানে মধুর সংগীতের মতো বাজতে লাগলো।

অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম আমি যেন এক মরুভূমির বুকে তৃষ্ণার্ত পথিক সুন্দরের পিপাসায় পিপাসার্ত আমার দুচোখ ভরে যেন আরো দেখি দেখছি তবু দেখার স্বাদ যেন মিটছে না‌।

শন শন শব্দ ঝিরঝির শব্দ সাদা ফেনা দুধ সাদা জলপ্রপাতের স্বচ্ছ পানি গড়িয়ে পড়ছে নিচে আর আঁচড়ে পড়ছে পাথরের উপর। ।

মেড অব দ্যা মিস্ট’ এর পাশে Observation Deck থেকে নায়াগ্রা ফলসের মোটামুটি ভিউ পাওয়া যায় এর বিপরীতে রেইনবো ব্রিজ এর ভিউ থেকে বেশ উপভোগ্য ।

নায়াগ্রা ফলস ভালোভাবে দর্শনের আর এক মাধ্যম ‘মেড অব দ্যা মিস্ট’ বোটে চড়ে যা জলপ্রপাতের পাদদেশে নিয়ে গিয়ে জলপ্রপাতের জল পতনের দৃশ্য সুন্দরভাবে অবলোকন করা যায়। যা নিউইয়র্ক আর কানাডা উভয় দেশ থেকে চলে।

নায়াগ্রা ফলসের অর্থ জলরাশির বজ্রধ্বনি, আর বাস্তবে জলপ্রপাতের গর্জন ছাড়া আর কিছুই শোনা দুষ্কর। জলপ্রপাতের সামনে গেলেই এর নামের যথার্থতা বুঝা যাচ্ছিল।

প্রেমিক যেমন প্রেমিকার সঙ্গে মিলনের জন্য ছুটে যায় ঠিক তেমনি পানি ঝর্নার সঙ্গে মিশে একাকার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পানি বাষ্প হয়ে মেঘ হয়ে যাচ্ছিল। কানাডা সাইডে বাষ্পের জন্য ঝর্ণার অনেকাংশ দেখাই যাচ্ছিল না। এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। যা এখনো মনে পড়লে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। না দেখলে এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।

আমরা রেইনবো ব্রিজের দিকে এগুলাম। যা কানাডা এবং ইউএসএ এর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে। নায়াগ্রা ফলস দুইদিক থেকেই দেখা যায়। কানাডা অংশ থেকে নায়াগ্রা ফলসের ভিউটা পরিষ্কার দেখা যায়। বাবু ভাইয়ের যেহেতু আমেরিকার নাগরিকত্ব রয়েছে সেহেতু ওনি অনায়াসে কানাডায় প্রবেশ করলেন। আমি রেইনবো ব্রিজ থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হলাম। জুতা, মোজা, ভিজা, আমার সারা শরীর ভিজে একাকার। বেশ ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছিল অনুসন্ধান ডেস্ক এর পাশে কফি সপে গিয়ে কফি আর হালকা নাস্তা সারলাম। ভিতরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর কিছুটা গরম অনুভব করলাম আর বাবু ভাইয়ের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। বাবু ভাই এলে আমরা দুপুরের খাবারের জন্য হোটেলের খোঁজ শুরু করলাম,‌ পাশেই ফুড কোর্ট, যাও পেলাম তা সব বন্ধ। আশেপাশে বেশ ঘোরাঘুরি পর আমাদের রুচি মতো খাবার না পেয়ে আমার সাথে থাকা খেজুর আর বাদাম দিয়ে আমরা ক্ষুধার্ত পেট ভরালাম।

আমি আর বাবু ভাই দৈহিক খাবারের চেয়ে মনের খোরাকের দিকে বেশি ব্যস্ত ছিলাম তাই আমরা অল্প খাবারেই আবারও পূর্ণ উদ্যমে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দর্শনে নেমে পড়লাম। নায়াগ্রা নদীর উপর বড় ব্রিজ পার হয়ে গ্রিন আইল্যান্ড তারপর ছোট ব্রিজ তা পার হয়ে গোট আইল্যান্ড হাতের ডান দিকে এগিয়ে গেলাম নায়াগ্রা ফলসের আরেক আকর্ষণীয় স্থান অব দ্য উইন্ডস অবজারভেশন টাওয়ার। আর এখানে হারিকেন ডেক থেকে ক্র্যাশিং ব্রাইডাল ভিল ফলের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায়। উপরের প্লাটফর্মটা নদীর দিকে এক্সটেন্ড করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমে লিফটে করে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে অনেক নিচে (১৭৫ ফিট) নামতে হয়। লিফট থেকে বের হয়ে একটা সুড়ঙ্গ পথ ধরে হাঁটতে হয়। জলপ্রপাতের পানি যেখানে পড়ছে, সেখানে গিয়ে শেষ হয়েছে পথটা। সেখান থেকে উপরের দিকে তাকালে দেখা যায়, মাথার অনেক উপর থেকে পানি পড়ছে। এই উচ্চতা প্রায় ৫১ একান্ন মিটার। কাঠের অনেকগুলো সিঁড়ি দিয়ে বিভিন্ন লেভেলে ছোট ছোট প্লাটফর্ম বানানো হয়েছে। উপরের প্লাটফর্মে দাঁড়ালে পানির ঝাপটা দিয়ে ভিজিয়ে দেয়। তাই রেইন কোট এর মতো পোশাক পরিধান করে এখানে যেতে হয়। তারপর পার্কের মাঝখানে বরাবর আমরা পায়ে হেঁটে গোট আইল্যান্ড এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে সামনে আগালাম।

এখানে প্রচুর বৃক্ষ কিছু গাছে বরফে ঢেকে এক অপরূপ শিল্পকর্মে রূপান্তরিত করেছে যা আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। পাশে নায়াগ্রা রিভার ও সেভেন সিস্টার আইল্যান্ড চারিদিকে পিনপতন নীরবতা শান্ত পরিবেশে ঠাণ্ডা হিম শীতল গুঁড়ি গুঁড়ি শুভ্র বরফ চারিদিকে দুধ সাদা যেন অন্য এক দুনিয়ায় আমাকে এনে দাঁড় করিয়েছে।

নায়াগ্রা জলপ্রপাতটি মূলত তিনটি জলপ্রপাতের সমষ্টি। সবচেয়ে বড় জলপ্রপাতটির নাম হলো হর্সশু ফলস বা কানাডা ফলস। এটি প্রায় ১৬৭ ফুট উঁচু থেকে ২৬০০ ফুট চওড়া পানির স্রোত নিয়ে নিচে আছড়ে পড়ে। বলা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের প্রায় ৯০ ভাগ পানি এই ফলস দিয়েই পতিত হয়। এর পরের ফলসটির নাম আমেরিকান ফলস। এটি প্রায় ৭০ ফুট উঁচু এবং ১৬০০ ফুট চওড়া। অন্যটির নাম ব্রাইডল ভেইল ফলস। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, নায়াগ্রার পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। প্রতিদিন প্রতি মিনিটে নায়াগ্রা জলপ্রপাত ৬০ লক্ষ ঘনফুট মাত্রাধিক জল প্রবাহিত করে। যার গড় পরিমাণ হল ৪০ লক্ষ ঘনফুট। নায়াগ্রা সমগ্র নিউইয়র্ক ও ওন্টারিও-র জলবিদ্যুৎ শক্তির এক অন্যতম প্রধান উৎস। হর্স্‌শু ফলসে অবস্থিত বিশেষ গেটের সাহায্যে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

এই মনোরম ও প্রাণবন্ত জলপ্রপাতটি পরিদর্শনের সেরা সময় হল বসন্ত ও গ্রীষ্মকাল। জলপ্রপাতের পাশাপাশি পর্যটকেরা ঘুরে আসতে পারবে প্রজাপতি ভাণ্ডারে, যেখানে আছে দুই হাজারেরও বেশি প্রজাতির প্রজাপতি। পর্যটকেরা আরো যেতে পারেন নায়াগ্রার আ্যকোয়ারিয়াম, নায়াগ্রা সায়েন্স মিউজিয়াম, ওয়ার্লপুল স্টেট পার্ক, ডেভিল’স হোল স্টেট পার্ক, নায়াগ্রা আ্যডভেঞ্চার থিয়েটার এবং হাইড্ পার্ক।জলপ্রপাত ও আশেপাশের এলাকা ঘুরেফিরে দেখলাম কেননা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার দুরে হয়ত আর নাও আসা হতে পারে । এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম রাতে নায়াগ্রা ফলস দেখব বলে। রাতে কানাডার অংশ থেকে বর্ণিল আলো নিক্ষেপ করে। সন্ধ্যার ঠিক পর পর রং-বেরঙের আলো পড়ল আর বর্ণিল আলো ফলসের উপরে পড়ে নায়াগ্রা ফলসকে মায়াবী রুপে আবির্ভাব করলো।

অন্যদিকে ৭টার দিকে বাস ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হলাম। আমার নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল, সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। কারণ শত প্রতিকুলতার পরও দিনে এবং রাতের নায়াগ্রা ফলসের সৌন্দর্য উপভোগ করার সৌভাগ্য হলো। যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডা, দুই দেশ থেকে দেখার খুব কৌতুহল ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে কানাডার ভিসা রিফিউজ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখে আমাকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

আমরা সেই সকালে এসেছি সেই থেকে এখন সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন আঙ্গিকে নায়াগ্রা ফলস দেখা হল তবু যেন কিছুই দেখা হলো না। কেন যেন একটা অতৃপ্তি রয়েই গেল। আসলে এর সৌন্দর্য একবার দেখে মন ভরে না। আগামীতে কানাডার সাইড থেকে দেখার এবং আপনাদের সাথে এর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য উপযুক্ত সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায় রইলাম।