করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিদিন ১০ লাখ মার্কিন নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রথম ১০০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ কোটি নাগরিক এই সেবা পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসেই করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে না। যার কারণে কিছু বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান তিনি।
আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বাইডেন তার স্বাস্থ্য দলটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় তিনি নাগরিকদের ১০০ দিনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার অংশ হিসেবে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার অনুরোধ করেন।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে দেশটির ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়োএনটেকের তৈরি টিকাটি। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) সংস্থা দু’টির উদ্ভাবিত এই টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
এফডিএ জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি প্রয়োগে সুরক্ষাজনিত কোন সমস্যা নেই। সংস্থাটি আরো জানায়, টিকাটির মান ও উপাত্ত সর্বাধিক বিস্তারিত এবং স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করেই এর সুরক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
টিকাটির ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আগামী বৃহস্পতিবার টিকার অনুমোদনের বিষয়ে এফডিএ’র উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক রয়েছে। এর আগেই এফডিএ ফাইজারের টিকা সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন জানিয়ে দিলো।
এদিকে, ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা টিকা ‘নিরাপদ এবং কার্যকর’। যদিও টিকাটির গবেষণায় বেশিরভাগই ৫৫ বছরের কম বয়সী স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল জানায় বয়স্কদেরও এই টিকা করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কমাবে। সেই সঙ্গে অসুস্থতা ও মৃত্যু কমিয়ে আনবে।