২০১৭ সালে একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা এবং যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আলোচনায় থাকা নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন নতুন বছরও শুরু করেছেন যুদ্ধের হুমকি দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে কিম বলেছেন, পারমানবিক বোমার বোতাম সবসময় আমার টেবিলেই থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্র কখনই যুদ্ধ শুরু করতে পারবে না।
নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত যুক্তরাষ্ট্র নর্থ কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্রের আওতায়। এটি বাস্তবতা, কোন হুমকি নয় বলেও যোগ করেন তিনি।
তবে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খেয়াল করছি, আমরা বিষয়টি দেখবো।’
বিবিসি জানায়, কিম জং উনের এই ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার কন্ঠ যতটা কঠোর ছিল প্রতিবেশী সাউথ কোরিয়ার প্রতি তেমন ছিল না। সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে তার আলোচনার পথ খোলা ছিল বলে জানান তিনি। এছাড়া সাউথ কোরিয়ার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে তিনি দল পাঠাবেন বলেও জানান।
নর্থ কোরিয়ার ৭০তম জন্মোৎসব এবং সাউথ কোরিয়ার শীতকালীন অলেম্পিক আয়োজনের কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, ২০১৮ সাল নর্থ এবং সাউথ উভয় কোরিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত দুই দেশের মধ্যকার বরফ গলানো। সেই কাজ করতে পারলেই তা হবে জাতির জন্য শোভনীয়।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, যেকোন সময় এবং যেকোন স্থানে নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছার কথা তার দেশ সবসময় জানিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি কোরিয়ান অঞ্চলে উত্তেজনা নিরসনে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুটি দেশ আলোচনায় বসবে।