ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউ’র প্রধান আলোচক মাইকেল বার্নিয়ারে বলেছেন, যুক্তরাজ্যে চাইলে এখনো ব্রেক্সিট স্থগিত করতে পারে। যুক্তরাজ্যে যদি চায় তাহলে ব্রেক্সিট বাতিল করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে পারে।
বুধবার ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মাইকেল বার্নিয়ার ভাষণে আরো বলেন, ‘১১ এপ্রিলের আগে এখনো সবকিছু সম্ভব‘। তিনি আরো বলেন, ব্রাসেলসের কেউ আপনাদের কাছ থেকে ব্রেক্সিট কেড়ে নিচ্ছে না। কেউই বিট্রিশদের ব্রেক্সিট বাতিলে ভোট দিতে প্ররোচণা দেয়ার চেষ্ঠাও করছে না।
‘তবে এটাও সত্যি যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়বে কি না, ব্রাসেলস সেই সিদ্ধান্ত নিবে না। সেই সিদ্ধান্ত একান্ত আপনাদের। আপনারা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং আপনাদেরকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে। আপনাদেরকেই এবিষয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আপনারা ব্যতিত অন্যকেউ এর দায় নেবে না।’
এদিকে ব্রেক্সিট বাতিল অথবা দু বছর পেছানোর দাবিতে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ গণস্বাক্ষর করেছে। দশ লক্ষাধিক মানুষ লন্ডন অভিমুখে দ্বিতীয় দফায় গণভোটের দাবিতে পদযাত্রা করেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি পেছানোর আহ্বানে সাড়া দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তিটি স্থগিত রাখার বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ককে চিঠি দিয়েছিলেন মে। জবাবে টাস্ক শর্তের বিনিময়ে তা মেনে নেন। শর্তটি হলো, যুক্তরাজ্যের এমপিরা যদি প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেন তবেই মে’র প্রস্তাব মেনে নেয়া হবে।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য ইইউ সম্মেলনে এবার সরাসরি ইইউ নেতাদের কাছে ব্রেক্সিট তিন মাস পেছানোর আবেদন জানাবেন টেরেসা মে। অবশ্য বুধবারই এ ব্যাপারে জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি বলেন, ব্রেক্সিট পেছানো তার জন্য ‘ব্যক্তিগতভাবে দুঃখজনক’। তবে জনগণের পাশে আছেন তিনি।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯’র ২৯ মার্চের পর যুক্তরাজ্যের আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য থাকার কথা নয়। এ বিষয়ে খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে দুই দফা বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মে।
তৃতীয় দফা ভোটের পরিকল্পনা করে তাতেও ব্যর্থ হয়ে টেরেসা মে সময় চান ইইউ’র কাছে।