চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যাকাত নিতে গিয়ে যতো দুর্ঘটনা

প্রতি বছরই রমজানের সময় যাকাত দেয়া-নেয়ার সময় নানা দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। একটা নিয়মিত ঘটনার মতোই শুক্রবার ভোরে ময়মনসিংহ শহরে  নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরিতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরো বহু লোক আহত হয়েছে।

এবার দেখে নেয়া যাক, যাকাত নিয়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনার কথা-

১৯৮০ সালে ঢাকার জুরাইনে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ১৯৮৩ সালের ৯ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যাকাতের টাকা নিতে গিয়ে ভিড়ে চাপে পড়ে ৩ শিশু মারা যায়।

১৯৮৭ সালের ২৩ মে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যাকাত প্রদানকালে ব্যাপক লোক সমাগম হয়। এক পর্যায়ে জনগণ উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মধ্যে পড়ে ৪ জন মারা যায়। এ ঘটনায় বহু লোক আহত হয়।

১৯৮৯ সালের ৫ মে চাঁদপুরে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত মারা যায় ১৪ জন। এসময় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।

যাকাত নিতে গিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামে। ১৯৯০ সালের ২৬ এপ্রিল পাহাড়তলীর আবুল বিড়ি ফ্যাক্টরিতে যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৩৫ জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।

সবশেষ ২০০২ সালে গাইবান্ধা জেলার পশ্চিম পাড়ায় নাহিদ কটন মিলের মালিক এম এ ওহায়েদ মিয়ার বাড়িতে জাকাত নিতে গেলে পদদলিত হয়ে মারা যায় ১১ জন। আহত হয় আরো ৭০ জন। এ ঘটনায় উপ-সচিব হযরত আলীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় নাহিদ কটন মিলের মালিক জড়িত নয় বলে প্রতিবেদন দেয়।