ইউরোপের সুপরিচিত ফুল জারবেরা। বাংলাদেশেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর আগে।
যশোরের গlখালি অঞ্চলে মাঠের পর মাঠ ছেয়ে গেছে জারবেরায়। এখন চাষিরা ফুল চাষে প্রচলিত দানা ইউরিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করছেন গুটি ইউরিয়া।
অর্পা জারবেরা গার্ডেনের স্বত্ত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই গাছের মাঝে মাঝে একটা করে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করলাম। এইভাবে তিনমাস অন্তর গুটি ইউরিয়া গাছে প্রয়োগ করে গাছের চেহারা এবং উৎপাদন সবটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাফিজা নার্সারির স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বাইরেও ট্রেইনার হিসেবে কম্বোডিয়াতে গেছি। স্বামী স্ত্রী দুইজনই গেছি ট্রেইনার হিসেবে। আমার ওয়াইফও ইন্ডিয়াতে ট্রেনিং নেয়ার জন্য গিয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, এখন বেড়ে গেছে ফুলের গুণগত মান ও ফলন। কমে গেছে ব্যয় ও খেতের আগাছা।
জারবেরা ক্ষেতে কর্মরত এক কৃষক বলেন, মাটিতে পুতলে ধীরে ধীরে কাজ হয়। গাছও ভালো হয়। অন্য সার যেমন ছিটালে নষ্ট হয়ে যায় এটা নষ্ট হয় না।
জারবেলার ক্ষেত্রে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকর বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
সিনিয়র কৃষিবিশেষজ্ঞ মফিজুল ইসলাম বলেন, জারবেলা ফলের দুই গোছার কাছে যখন গুটিটা দেয় তখন এতে অক্সিজেন লাগে না এবং নাইট্রোজেনেরে এফিসিয়েন্সি বাড়ে। জারবেলা ফলের গাছের বৃদ্ধি, গঠন অতিদ্রুত হয়।
গতখালিসহ আশেপাশের এলাকায় প্রায় ২৫ হেক্টর জারবেলা ক্ষেতে ব্যবহার হচ্ছে গুটি ইউরিয়া।