চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ময়নাতদন্ত করলে অনেক কিছু বের হবে: সুজন

বাংলাদেশ দলের হারের জন্য উইকেট কিংবা একাদশকে কোনোভাবে দায়ী করতে চান না টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বরং ভিন্ন কিছুর দিকে ইঙ্গিত করছেন। তবে সেটি কী, তা বলতে চাননি।

সুজনের ভাষায়, ‘অনেকে বলছে টেস্টে ঘূর্ণি উইকেটে খেলেছি কেন। আমরা ভুলে গেছি এখানে বিশ্বমানের স্পিনার লায়নের বিপক্ষে খেলেছি। ময়নাতদন্ত করলে অনেক কিছু  বের হবে। সেটা বের করতেও চাই না। উইকেটকে দোষ দেওয়ার  কিছু নেই। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’

হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর ত্রিদেশীয় সিরিজে দায়িত্ব দেয়া হয় সুজনকে। তার অধীনে শুরুটা হয় দুর্দান্ত। কিন্তু সময় যেতেই সব ভেঙে পড়ে। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ এবং টেস্টে বাজেভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ।

এমন হারের কারণ সম্পর্কে একজন কোচ হিসেবে সবকথা বলার প্রয়োজন দেখেন না তিনি, ‘আমরা হেরেছি এর পেছনে অনেক কিছু থাকতে পারে। অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে। সেটা তো আমরা কোচরা এসে বলবো না। বা বলার দরকারও নেই।’

চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করার পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে একাদশ থেকে বাদ দেয়া হয়। এ নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়, ‘প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে মোসাদ্দেককে খেলাতে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে!’

মূর্তিকারিগর

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমন সমালোচনায় সুজন বেশ আহত। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল ছাড়া অন্য কিছু আমাকে ছুঁতে পারবে না। যখন নেতিবাচক কথা বলা হয়, সত্যি কষ্ট লাগে। তখন মনে হয় এত বছর ক্রিকেটের সঙ্গে থেকে কী লাভ হল।’

সুজন মনে করেন এক মোসাদ্দেক এবং আবাহনী বাংলাদেশ দলের ম্যাচ হারার কারণ হতে পারে না, ‘৫৩ বলে ৯ রান করছে (৯ নয়, মোসাদ্দেক চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ বলে আট রান করেন), সেটা আমিও দেখছি। আমারও ক্রিকেট জ্ঞান আছে। ৮৩ সালে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। এখন ২০১৮। কে পারে, কে পারে না, কাকে কখন দরকার, কী দরকার, সেটা আমরাও বুঝি।’

সুজন এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এই অবস্থায় আর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকতে চান না তিনি।