টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছুঁতে না পারা ভীষণ কষ্টের। সেই কষ্টের প্রকারটা ভালোই জানা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১৫ আসরে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ফাইনালের নেতৃত্বে যে ছিলেন তিনিই। পরের, অর্থাৎ ২০১৯ আসরের ফাইনাল জিততে না পারার কষ্ট তাই তাকেও বেশ পোড়াচ্ছে। একইসঙ্গে গর্বে বুকটা ফুলেও উঠছে কিউইদের সাবেক অধিনায়কের। বলছেন, যেভাবে হেরেছে তার দেশ এমন হারেও মিশে থাকে গর্ব।
নির্ধারিত ১০০ ওভারে ফল নিষ্পত্তি না হওয়ার পর সুপার ওভারেও যখন ম্যাচ টাই হয়, তখন বাউন্ডারির হিসাব বিবেচনা করে নিউজিল্যান্ডকে কাঁদিয়ে শিরোপা তুলে দেয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের হাতে। লর্ডসের ফাইনালটা মাঠে বসেই দেখেছেন ম্যাককালাম। এত কাছে থেকে উত্তরসূরিদের এমন হারে হৃদয় ভেঙে গেছে তার।
বাউন্ডারি দিয়ে শিরোপা নিষ্পত্তি হলেও ম্যাচে রানের ফলাফলে হারেনি নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনদের এমন খেলায় তিনি ও দেশবাসী গর্বিত বলেই জানালেন ব্রেন্ডন, ‘আমি সৌভাগ্যবান। কারণ ফাইনালের পর এই দলটার সঙ্গে ড্রেসিংরুমে বসে পান করতে পেরেছি। জানতাম তাদের হৃদয় ভেঙে তখন খানখান।’
‘খেলোয়াড়রা যেভাবে খেলেছে তাতে নিজেদের নিয়ে গর্ব করতেই পারে। আগামী কয়েক মাস, বছরেও স্মৃতিটা তাজা থাকবে। তারা জানে খেলাটা কতটা অসাধারণ ছিল।’
অসাধারণ ফাইনালের পর বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের চাহিদা আরও বাড়বে বলেও মনে করেন ম্যাককালাম, ‘আমরা একটা সুযোগ হারিয়েছি। তবে ফাইনালের পর বাকি পথটা আমরা ইতিবাচক থাকতে পারবো। ম্যাচটা এমন একটা ম্যাচ ছিল, যেখানে আমার দেশ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবাইকে মোহমুগ্ধ করে রেখেছে।’