ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জয়ের দিনে জয় পেয়েছে লিগের নবাগত দল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবও। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৩ উইকেটে হারায় মোহামেডান। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় শাইনপুকুর।
বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৯ রান করে প্রাইম ব্যাংক। খেলার শুরুতেই তাসের ঘরের মত ধস নামে প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং লাইনআপে। স্কোর বোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই উইকেট হারায় তারা। পরে ৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধ্বংসস্তুপে চলে যায় প্রাইম ব্যাংক।
চরম বাজে শুরুর পর দলকে পথ দেখান আল-আমিন ও আরিফুল হক। দুজনে মিলে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। ৮৭ রান করে আরিফ আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন আল-আমিন। ১২৬ বলে নয়টি চার ও তিন ছক্কায় ১১০ রান করেন তিনি। আর ঠিক ১০০ বলে সমান চারটি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রান করেন আরিফ।
মোহামেডানের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৩টি, বিপুল শর্মা ও কাজী অনিক দুটি করে উইকেট নেন।
প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের জবাব দিতে নেমে ওপেনিংয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন দুই ভাই জনি ও রনি তালুকদার। জনি ১৫ রানের আউট হলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন রনি। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৬০ রান করে।
তালুকদার ভাইদের পর মিডলঅর্ডারে রকিবুল হাসানের দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রানের সঙ্গে মোহাম্মদ এনামুলের অপরাজিত ৩২ ও তাইজুল ইসলামের ৩৫ রানে ৭ বল ও ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় মোহামেডান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও দেলেয়ার হোসেন।
আর মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৩২ রান করে কলাবাগান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আকবর-উর-রেহমান। হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদুল হাসান (৫২) । এছাড়া ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন আবুল হাসান। তবে হিসাবের খাতা খুলতে পারেননি মোহাম্মাদ আশরাফুল।
শাইনপুকুরের শুভাগত হোমের ৩ উইকেটে পাশপাশি দুটি করে উইকেট নেন সুজন হাওলাদার ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দল আর নিজের খাতা খোলার আগে আউট হন সাব্বির হোসেন। শুরুর এই ধাক্কা সামলে দেন সাদমান ইসলাম (৩৭) ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কুল (৩৪) । তবে জয়ের রাস্তাট সহজ করে দেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। তৌহিদ ৬৩ রানে আউট হলেও ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। শেষ দিকে অপরাজিত ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শুভাগত হোমও।