আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে পারেননি আসিফ আহমেদ। শেখ জামালের বিপক্ষে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দেখেছিল ৩ রানের নাটকীয় হার। এবার হ্যাটট্রিক হল না। পেলেন আগের ম্যাচের সমান তিন উইকেটই। সঙ্গে জ্বলে উঠলেন মোশাররফ ও শহীদ। ত্রয়ীর বোলিং তাণ্ডবে লো-স্কোরিং ম্যাচে মোহামেডানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ।
স্কোর: রূপগঞ্জ: ২৩১/৭, মোহামেডান: ১৬৯ (৪৪.৩ ওভার)
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে এটি প্রথম জয় রূপগঞ্জের। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে রোববার ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জের স্পিন-পেস আক্রমণের তোপে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। ওপেনাররা দারুণ সূচনা এনে দিলেও হাল ধরতে পারেননি অন্যরা।
রনি তালুকদার ও পাকিস্তানি রিক্রুট সালমান বাট ওপেনিংয়ে যোগ করেন ৪৮ রান। ৩০ রান করে আসিফের বলে রনি বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় বাঁহাতি সালমানকে (২১) ফিরিয়ে রূপগঞ্জকে ম্যাচে ফেরান আসিফ।
তৃতীয় উইকেট জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই মোশাররফ হোসেনের বলে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কুর (১৯)। দলের রান তখন ৯৮। মোহামেডান অধিনায়ক শামসুর রহমান (৩৪) বোল্ড করে নিজের তৃতীয় শিকার আসিফের।
১২১ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর বড় বিপর্যয়ের শুরু। বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফের ঘূর্ণিতে বালুর বাধের মতো ভেঙে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং। শেষে পেসার মোহাম্মদ শহীদ যোগ দেন উইকেট শিকারের মিছিলে। তিন বোলার ভাগাভাগি করে নেন ১০ উইকেট। মোশাররফ চারটি, আসিফ ও শহীদ নেন তিনটি করে উইকেট।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তোলে রূপগঞ্জ। আব্দুল মজিদ ৭০, অভিষেক মিত্র ৪৫, তুষার ইমরান ৪০ ও নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।
রূপগঞ্জের মাজঘরে ফেরা সাত উইকেটের মধ্যে একাই পাঁচ উইকেট নেন কাজী অনিক। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ বাঁহাতি পেসার ১০ ওভার বল করে দেন ৪৪ রান। দুই উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। এ বাঁহাতি স্পিনার ১০ ওভারে দেন ৩৮ রান।