পিএসএলের উদ্বোধনী দিনে তামিম ইকবাল পেশোয়ারের হয়ে মাত্র ১১ রানে ফিরেছেন। দ্বিতীয় দিনে দারুণ করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। টাইগারদের তারকা পেসার লাহোরের হয়ে প্রথম ম্যাচে আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়েছেন ২টি উইকেট।
শুক্রবার দুবাইয়ে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে নেমেছে মোস্তাফিজের লাহোর কালান্দার্স। শুরুতে ব্যাট করে মুলতান ৫ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহই গড়েছে। সেটা আরও বাড়তে দেননি লাহোরের দিনের সেরা বোলার মোস্তাফিজ।
ফিজ এদিন ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। মুলতানের সর্বোচ্চ স্কোরার শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান কাটার মাস্টার। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৩ করা উদ্বোধনী সাঙ্গাকে ফখর জামানের ক্যাচে পরিণত করেন ফিজ।
বাঁহাতি পেসারের প্রথম উইকেটটি আসে আরেক উদ্বোধনী আহমেদ শেহজাদকে সাজঘরে ফিরিয়ে। ৩৩ বলে ৩৮ করা শেহজাদকে উইকেটরক্ষক উমর আকমলের গ্লাভসে জমা করেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজ এদিন বল হাতে পান পঞ্চম ওভারে। দ্বিতীয় বলে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে একটি বাই থেকে চার হয়। পঞ্চম বলে একটি বাউন্ডারি মারেন সাঙ্গাকারা। ওই ওভারে আসে ১০ রান।
পরে আবার তাকে ১১তম ওভারে ডাকেন অধিনায়ক। ওই ওভারের প্রথম বলে শেহজাদের উইকেট। পঞ্চম বলে একটি বাউন্ডারি হাঁকান শোয়েব মকসুদ। সেই চার রানেই এক উইকেটের ওভার কাটে।
শেষদিকে ১৭তম ওভারে আবারও ডাক পড়ে। দ্বিতীয় বলে ছয় মারেন সাঙ্গা। পঞ্চম বলে শোধ তোলেন ফিজ, সাঙ্গাকে ফিরিয়েই। এক উইকেটের ওভারে ১০ রান খরচ। আর ১৯তম ওভারে ব্র্যাভো ও মালিককে নাচিয়ে মাত্র ৩ রান খরচ করে দুর্দান্ত দিনটার কোটা শেষ করেন।
ফিজের দিনে ইয়াসির শাহও দারুণ বল করেছেন, ৪ ওভারে ২৭ রানে এক উইকেট তার। সুনিল নারিন ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
সেখানে মুলতানের সংগ্রহটা যে শেষঅবধি পৌনে দুইশর কাছে গেল তাতে বড় অবদান থাকল শোয়েব মালিকের। অধিনায়ক শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার সময় ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলের ঝড়ে ৪৮ রান করে গেছেন।
ফিজদের ১৩৬ রানে অলআউট করে দিয়ে পরে ৪৩ রানে ম্যাচটা জিতেছে শোয়েব মালিকের দলই।