অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই ডান কাঁধে চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলে চোটের মাত্রা বাড়ায় এ অফস্পিনার শরণাপন্ন হয়েছেন দেবাশীষ চৌধুরীর। বিসিবি চিকিৎসক জানালেন, মিরাজের চোটের ধরণ মোস্তাফিজের সেরে ওঠা চোটের মতো।
বোলিং করতে খুব একটা সমস্যা না হলেও থ্রোয়িং করতে বেশ সমস্যা হচ্ছে মিরাজের। যে কারণে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে আছেন বিশ্রামে। খেলতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে। চোটের ধরন বলছে, লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ২০ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারকে।
দুই বছর আগে কাঁধের চোটে পড়া মোস্তাফিজুর রহমানের করাতে হয়েছিল অস্ত্রোপচার। তার আগে ইনজেকশন পুশ করে সারানোর চেষ্টা হয়েছিল বাঁহাতি পেসারকে। মিরাজের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ।
‘মিরাজের ডান কাঁধে ইনজুরি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় থেকেই ওকে এটা ভোগাচ্ছে। চিকিৎসাও হয়েছে। মোটামুটি ম্যানেজেবল অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি ওর থ্রোয়িংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। এমআরআই করিয়েছে, তাতে ল্যাবরাল টিয়ার ধরা পড়েছে। আমরা কনজারভেটিভ উপায়ে চেষ্টা করছি ম্যানেজ করার জন্য। ইনজেকশন অথবা ফিজিওথেরাপি দিয়ে ম্যানেজ করার জন্য। তাতে ব্যথা না কমলে বা সমস্যা থেকে গেলে পরবর্তীতে অপারেশনে যেতে হবে।’ -জানান দেবাশীষ চৌধুরী।
‘শিগগিরই ওকে ‘পিআরপি’ ইনজেকশন দেয়া হবে। এ ইনজেকশন দু-তিনবার ব্যবহার করতে হবে। ফল পেতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। এরপরই জানতে পারব, কনজারভেটিভ পদ্ধতিতে কতটা সফল হতে পারছি আমরা। মোস্তাফিজের অপারেশন করতে হয়েছে, অনেকটা কাছাকাছি ধরণেরই ইনজুরি এটা। মোস্তাফিজের ক্ষেত্রেও কনজারভেটিভ পদ্ধতিতে চেষ্টা করেছিলাম। সফল না হওয়াতে পরে অপারেশন হয়। মিরাজের ক্ষেত্রেও আমরা সেটি করছি। ইনজেকশনের ফল দেখলে বোঝা যাবে, অপারেশন লাগবে কিনা।’ -যোগ করেন দেবাশীষ।