মাঠে ফিরেই বল হাতে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজুর রহমান। চার মৌসুম পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই তুলে নিলেন দুই উইকেট। পরে আরও এক ব্যাটসম্যানকে শিকার বানিয়ে প্রথম স্পেল শেষ করেন ৫ ওভার ২০ রানে ৩ উইকেট ঝুলিতে নিয়ে।
১৭৭ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মোস্তাফিজ। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শামসুর রহমান শুভর প্রতিরোধের পর ডাকওয়ার্থ ও লুইস মেথডে ২১ রানের জয় তুলে সেরা ছয়ের সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
সকালে কয়েকদফা বৃষ্টি হওয়ায় কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। অফস্পিনার সঞ্জিত সাহার দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৪৮ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি শাইনপুকুর।
জবাব দিতে নেমে গাজী ২১.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তোলার পর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় পুরো মাঠ। পরে বৃষ্টি আইনে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গাজী।
শামসুর রহমান অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৬৫ বলের ইনিংসে ছিল দর্শনীয় ৯টি চারের মার। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন গাজীর পাকিস্তানি রিক্রুট কামরান গোলাম। ১৬ রান করে রনি তালুকদার হন রানআউট।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে গাজী। মোস্তাফিজ দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই এলবিডব্লিউ করেন ওয়ালিয়ুল করিমকে (০)। শেষ বলে গাজীর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানান। ৬ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
মেহেদী হাসানকে নিয়ে দলীয় ফিফটি পূর্ণ করেন শামসুর। ১৩ রান করে মেহেদী মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। রনি তালুকদারকে নিয়ে জয়ের পথে হাঁটেন শামসুর। দলীয় রান একশ ছোঁয়ার আগে ভুল বোঝাবুঝিতে রনি রানআউট হলে ভাঙে ৩২ রানের জুটি।
দ্বিতীয় স্পেলে মোস্তাফিজ করেন ১.৫ ওভার। দেন ৩ রান। নতুন করে কাটার মাস্টার জ্বলে ওঠার আগেই হানা দেয় বৃষ্টি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরের শুরুটা ভালো হলেও সঞ্জিতের দারুণ বোলিংয়ে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায়। ওপেনার সাদমান ইসলাম করেন ৪০ রান। শেষদিকে নেমে দেলোয়ার হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪০ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাটে আসে ৩০ রান।
সঞ্জিত ১০ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। নাসুম আহমেদ দুটি, আবু হায়দার রনি ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন একটি করে উইকেট।