এ দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। বাংলা চলচ্চিত্রকে যারা বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। এ দেশের চলচ্চিত্র আন্দোলন ও শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণেও তিনি একাগ্র সৈনিক। মোরশেদুল ইসলামের হাত ধরেই এসেছে দীপু নম্বর টু, আমার বন্ধু রাশেদ কিংবা অনিল বাগচীর একদিনের মতো নন্দিত সব চলচ্চিত্র।
তার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আগামী (১৯৮৪) ও চাকার জন্য তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মান। তার চলচ্চিত্র মানেই সমাজের অনন্য এক আয়না। যেখানে মিশে থাকে সামাজিক সংকট কিংবা মানবিক জটিলতাগুলো ফুটে উঠেছে সূক্ষ্মভাবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটেও তিনি সিদ্ধহস্ত। নির্মাণ করেছেন ‘খেলাঘরের’ মতো চলচ্চিত্র।
সামনেই আসছে তার নতুন চলচ্চিত্র আঁখি ও তার বন্ধুরা। আজ এ বরেণ্য পরিচালকের শুভ জন্মদিন। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন চলচ্চিত্র সংগঠক বেলায়েত হোসেন মামুন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমাদের এবং আমার সকল কাজে বটবৃক্ষের মত ছায়া হয়ে, আশ্রয় হয়ে মোরশেদ ভাই আমাদের আগলে রেখেছেন। তার স্ট্যাটাসটি চ্যানেল আই পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হল –
‘‘আজ ১ ডিসেম্বর। আজ আমাদের প্রিয় অগ্রজ মোরশেদ ভাইয়ের জন্মদিন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের অন্যতম অভিভাবক বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম। তিনি এমনই একজন মানুষ যিনি শাসনে এবং স্নেহে সর্বদাই প্রবল। আমাদের আরেক প্রিয়জন তারেক (তারেক মাসুদ) ভাই একবার এক ঘরোয়া আড্ডায় বলেছিলেন, ‘আমাদের মধ্যে মোরশেদ একদম আলাদা। মোরশেদের হৃদয় হিসাব কষে ভালোবাসে না। সে সিংহহৃদয়ের অধিকারী!’
বাস্তবিক অর্থেই তারেক ভাইয়ের এই মূল্যায়ন যথার্থ… আমাদের এবং আমার সকল কাজে বটবৃক্ষের মত ছায়া হয়ে, আশ্রয় হয়ে মোরশেদ ভাই আমাদের আগলে রেখেছেন… আমাদের সাহস ও শক্তির পেছনে মোরশেদ ভাইয়ের শাসন ও স্নেহের অবদান অশেষ…
শুভ জন্মদিন মোরশেদ ভাই! আপনার সু-স্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।’’