মাইলফলক ছুঁতে মাত্র এক গোল দরকার ছিল। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় দর্শনীয় ফ্রি-কিকে সেই গোলটি পেলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারের ৬০০তম ওই গোলেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
এই জয়ে লিগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব আরও মজবুত করল কাতালান জায়ান্টরা। তাতে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮-এ। ২৭ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট বার্সার। সমান ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর ৬১। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের তিনে।
রোববার ন্যু ক্যাম্পে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে নিজের সেরা শিষ্যদের নিয়েই রণকৌশল সাজান বার্সা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে। মেসিকে আক্রমণের মধ্যভাগে রেখে দুই প্রান্তের দায়িত্ব দেন লুইস সুয়ারেজ ও ফিলিপে কৌতিনহোকে। কাতালান জায়ান্টদের নতুন এ আক্রমণ ত্রয়ী শুরু থেকেই চাপে রাখে রোজা ব্লাঙ্কোদের।
ম্যাচের ২১ মিনিটে বার্সার প্রথম সুযোগটি এনে দেন মেসি। তিন অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের মাটি কামড়ানো শট আটকে যায় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান ওব্লাকের গ্লাভসে।
কিন্তু ২৬ মিনিটে মেসিকে আর রেকর্ড গড়া গোল থেকে বিরত রাখতে পারেননি ওব্লাক। ৩৫ গজ দূর থেকে ফুটবল জাদুকরের বাঁকানো ফ্রি-কিক অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষকের আঙুলে বাতাস দিয়ে খুঁজে নেয় জাল। উল্লাসে ফেটে পড়ে ন্যু ক্যাম্পের উপচে পড়া গ্যালারি।
মেসির ক্যারিয়ারের ৬০০তম গোল এটি। যার ৫৩৯টি এসেছে বার্সার জার্সিতে। আর বাকি ৬১টি আর্জেন্টিনার হয়ে। সেখানে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলে ২৮তম গোলটি পেলেন মেসি। সঙ্গে চলতি লিগে ২৪তম গোল ও সর্বোচ্চ।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন বার্সা অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। তাকে উঠিয়ে আন্দ্রে গোমেজকে মাঠে পাঠান কোচ ভালভার্দে। কিন্তু এদিন মেসির সঙ্গে সমানতালে ছোটাছুটি করেছেন কৌতিনহো। অ্যাটলেটিকো শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বেশ। ৩৪ ও ৩৮ মিনিটে দুবার এ ব্রাজিলিয়ানকে গোলবঞ্চিত করেছেন অতিথি গোলরক্ষক।
বিরতির তিন মিনিট আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল পিকের সামনে। ৪২ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বার্সা ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে গেছে ক্রসবারের উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে এনে বার্সার উপর চড়াও হয়ে খেলেছে অ্যাটলেটিকো। তবে ততটা ধার না থাকায় বার্সার অর্ধে গিয়ে আটকে গেছে প্রতিটি আক্রমণ। উল্টো ৭৯ মিনিটে মেসির শট থেকে বুস্কেটসের ভলি ওব্লাকের হাতে আটকে না গেলে ব্যবধান বাড়তে পারত। শেষদিকে বেশকিছু সুযোগ গোলে রূপ দিতে পারেনি বার্সা।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অবশ্য গোল পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু রেফারির অফসাইডের বাঁশিতে থেমে গেছে রোজা ব্লাঙ্কোদের উল্লাস। তাতে মেসির মাইলফলক ছোঁয়া একমাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত হয় কাতালানদের।