কোথায় যাবেন লিওনেল মেসি? প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে ঘিরে এ একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির নাম। লাইনে আছে প্যারিসের পিএসজি, ইতালির ইন্টার মিলানও।
বড় সব ক্লাবের মাঝে আশা ছাড়েনি মেসির শৈশবের ক্লাব রোজারিও’র নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ। বলা চলে তারা একধাপ এগিয়ে! ইউরোপের ক্লাবগুলোর মতো তাদের অর্থকড়ি নেই ঠিকই, কিন্তু তাতে আশাতে বিন্দুমাত্র মরচে পড়েনি। মেসিকে ফিরে পেতে ক্লাবটির সমর্থকদের মিছিল সেটাই যেন প্রমাণ করে।
২০০১ সালে বার্সার যুব একাডেমিতে যোগ দেয়ার আগে নিউওয়েলসে খেলতেন মেসি। শৈশবের ক্লাবের প্রতি তার ভালোবাসার কথা কারও অজানা নয়। সম্ভব হলে সেখানে কোনো একসময় যে তিনি খেলতে চান, সেটা নিজ মুখেই বলেছেন অনেকবার।
সেই কোনো এক সময়টা এখনই কেনো নয়! সম্ভব হলে সামনের মৌসুম থেকেই মেসিকে পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমেছিলেন একদল রোজারিও সমর্থক। ক্লাবের স্লোগান ‘তোমার স্বপ্ন, আমাদের ইচ্ছা’ গাইতে গাইতে ক্লাবের লাল-কালো পতাকা হাতে মিছিল করেছেন তারা। অনেকের মাথায় টুপি ছিল, যাতে শোভা পেয়েছে মেসির ছবি। ছবিতে রোজারিও’র জার্সি পরে আছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মেসিকে নিউওয়েলসে ফেরানোর আবদারটা সময়ের বিচারে এখন খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেলেও অসম্ভব কিছু নয় বলে মনে করেন ক্লাবটির ইংলিশ সমর্থকদের প্রধান জেমি রালফ। ডিয়েগো ম্যারাডোনা ৩৩ বছর বয়সে সেভিয়ার হয়ে খেলতে পারলে মেসির শৈশবের ক্লাবে ফেরাটাও কঠিন কিছু নয় বলে মত তার।
‘ম্যারাডোনা স্পেনে ফিরে সেভিয়ার হয়ে খেলেছিলেন। সেটা ছিল ’৯৪ বিশ্বকাপের সময়। তার বয়স ছিল ৩৩, মেসির বয়সের সমানই। যদি তিনি নিউওয়েলসে এসে খেলেন, সেটা হবে অবিশ্বাস্য।’