বিশ্বকাপ বিপর্যয় কাটিয়ে জয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিকে ছাড়াই বড় জয় পেয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শনিবার গুয়েতেমালাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পাভন-মার্টিনেজরা।
বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে ’অনির্ধারিত’ সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছেন মেসি। মাশ্চেরানোসহ বেশ কয়েকজন ফুটবলার অবসরে গেছেন। দলে নেই ডি’মারিয়া বা সার্জিও আগুয়েরোর মতো ফুটবলারও।
তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস মেমোরিয়াল কোলিসিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই এলএম টেনসহ বাকিকের অভাব টের পেতে দেননি ক্রিস্টিয়ান পাভন, জিওভান্নি সিমিওনে, গঞ্জালো মার্টিনেজ ও লো সেলেসোর মতো দলের তরুণ সেনারা।
দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ শেষে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান হোর্হে সাম্পাওলি। তার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে লিওনেল স্কোলানিকে।
স্কোলানির অধীনে প্রথম আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় পাস আর্জেন্টিনা। প্রথম একাদশে দিবালা-ইকার্দি না থাকলেও ম্যাচের শুরু থেকে গতিময় ফুটবল খেলেন পাভন-মার্টিনেজরা। তবে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২৭ মিনিট পর্যন্ত। এসময় ডি-বক্সে গুয়েতেমালার ডিফেন্ডার ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেনি মার্টিনেজ।
দ্বিতীয় গোল পেতে অবশ্য খুব একটা দেরি করতে হয়নি আকাশী-নীলদের। ৩৫ মিনিটে সেলেসো দলকে দ্বিতীয়বার লিড এনে দেন। পালাসিও’র পাস থেকে গোল করেন তিনি।
৪৪ মিনিটে দলকে তৃীয়য়বার লিড এনে দেন জিওভান্নি সিমিওনে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন বিখ্যাত বাবার ছেলে ইতালিয়ান ক্লাব ফিয়োরেন্টিনার ফরোয়ার্ড সিমিওনে। বাবা সিমিওলে ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ।
প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও প্রতিপক্ষে রক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু এই অর্ধে প্রায় ডজনখানেক আক্রমণ করেও গোল মুখ খুলতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধে পাওয়া ৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
গত দুই বছরের মধ্য এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারল গুয়েতেমালা। সর্বশেষ হারটাও ছিল অবশ্য এই আর্জেন্টাইনদের বিরুদ্ধেই। ২০১৬তে মেসিদের কাছে তারা হেয়েছিল ৭-১ গোলে।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।