গত কয়েক মৌসুম ধরে নেইমার, নেইমার করে বার্সেলোনা কর্মকর্তাদের পাগল বানিয়ে ছেড়েছেন লিওনেল মেসি। প্রিয় বন্ধুকে ন্যু ক্যাম্পে না দেখে কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য পর্যন্ত হয়েছে বার্সা অধিনায়কের। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে খুশি করতে চেয়ে অর্থের অভাবে দুই দফায় ব্যর্থ হয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
করোনার কারণে বার্সা-নেইমার প্রসঙ্গ অনেকটাই চাপা পড়ে ছিল, এরমাঝে মেসি আবার ন্যু ক্যাম্প ছাড়তে চাইলেন। ৩৩ বছর বয়সী তারকার পেছনে সময় দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কোনো বাড়তি সময় খরচ করতে চায়নি বার্সা। সবকিছু যখন ঝিমিয়ে ছিল, ফের উত্তাপ ছড়াল পিএসজি তারকার একটি বক্তব্য।
‘তার(মেসির) সঙ্গে যেকোনোভাবে আমি মাঠে নামতে চাই। আমি আবারও তার সঙ্গে খেলতে চাই। হয়তো আগামী বছরই ইচ্ছেটা পূরণ হবে।’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানইউর বিপক্ষে ম্যাচের পর গত ৩ ডিসেম্বর পিএসজি তারকার এমন মন্তব্য জন্ম দেয় নতুন জল্পনার।
এই কথার অর্থ হতে পারে দুটি। হয় আগামী মৌসুমে বার্সায় ফিরতে পারেন নেইমার, নয়তো বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখাতে পারেন মেসি। আগামী ৩০ জুনের পর বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির, তখন ফ্রী এজেন্ট হিসেবে যেকোনো দলেই খেলতে পারবেন তিনি।
প্রথমটিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় সম্ভাবনাই জিইয়ে রইল লা স্যাক্সতার সঙ্গে মেসির সাক্ষাৎকারে। সাংবাদিক জর্ডি ইবোলের সঙ্গে বার্সা তারকার কথোপকথনে উঠে এসেছে এই মুহূর্তে নেইমার তো বটেই, বড় কোনো খেলোয়াড় কেনার সামর্থ্য নেই তার ক্লাবের। যেকারণে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ন্যু ক্যাম্পে পুনর্মিলনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিলেন মেসি।
‘ভালো মানের খেলোয়াড় কেনার সামর্থ্য এই মুহূর্তে নেই, কারণ আমাদের হাতে কোনো অর্থ নেই।’
‘সব শিরোপার জন্য লড়াই করতে হলে আমাদের ভালো মানের কয়েকজন খেলোয়াড় প্রয়োজন, কিন্তু তাদের তো বেতন দিতে হবে। আমরা পিএসজির টাকা পরিশোধ করবো কীভাবে? নেইমারকে আনতে চাওয়া এই মুহূর্তে ভীষণ খরুচে বিষয়।’
নেইমার না আসুন, মেসি তো যেতে পারেন পিএসজিতে! সেই সম্ভাবনা তো উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। জর্ডি ইবোলের এমন প্রশ্নের জবাবটাকে বেশ ভালোভাবেই এড়িয়ে গেছেন মেসি।
‘আমি জানি না সে এমনকিছু বলেছে কিনা। আমার মনে হয় ও বলতে চেয়েছিল সম্ভব হলে… আপনারাই জেনে নেবেন সে কেনো এমন কথা বলেছে।’
‘লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারের সঙ্গে আমার হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ আছে, এবং বিভিন্ন সময়ে আমাদের কথা হয়। আমাদের শেষ কথা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র নিয়ে। আমি কিংবা নেইমার কেউই এ নিয়ে খুশি নই। আমরা কেউই একে অপরকে চাইনি। পিএসজি বার্সেলোনাকে চায়নি, কারণ আমরা হয়তো এখন ভালো অবস্থানে নেই, তবে ইতিহাসে বার্সা অন্যতম সেরা দল। লড়াইটা সমানে সমানে হবে।’