এক ছাদের নিচে আয়কর দেওয়ার সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে আয়কর মেলা। সরকার মনে করছে, মেলার সাফল্যে নাগরিকদের ট্যাক্সভীতি দূর হচ্ছে। কর মেলা জনগণকে করমনস্ক করতে সহযোগিতা করছে বলে মনে করে রাজস্ব বিভাগ।
ঝামেলা ও হয়রানিমুক্তভাবে রিটার্ন জমাসহ নানা ধরণের সেবা দিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর বুধবার থেকে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে আয়োজন করেছে এক সপ্তাহের ৬ষ্ঠ আয়কর মেলা।
মেলার উদ্বোধন করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, কর ঠিক মতো না দিলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না। যাদের কর দিতে হয়, কর দেয়ার মাধ্যমে তারা বুঝতে পারবেন যে এই কর আগামীতে তাদেরই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কাজে আসবে।
আয়কর মেলা কর দেওয়াকে জনপ্রিয় করেছে বলে মন্তব্য করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য এই মেলার মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কর প্রদানে উৎসাহী করে তোলা, তাদের মধ্যে কর সচেতনতা তৈরি করা, কর বিভাগ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করা।
একশ’র বেশি বুথের মাধ্যমে রিটার্ন জমা, টিন সার্টিফিকেটসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ জানান, কর প্রদানে এখানে অনেক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, যে কোনো সমস্যা হলে স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। আর কর অফিসে গেলে পিয়নদের ঘুষ না দিলে বিল তৈরি করে দিতে অবহেলা করতো।
অনেকেই জানান, একই জায়গায় সব সার্ভিসগুলো নিশ্চিত হওয়ায় এরকম মেলা খুবই উপকারি।
গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারের করমেলায় দুই হাজার কোটি টাকা আয়ের আশা করছে রাজস্ব বোর্ড।
রাজধানীর পাশাপাশি সারা দেশে বিভাগীয় শহরে ৭ দিন, সব জেলায় ৪ দিন এবং ২৯ উপজেলায় ২ দিনের কর মেলা হচ্ছে।